জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বরেন্দ্র রেডিওর শরিফ উদ্দিন।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর যৌথ তত্ত্বাবধানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কারিগরি সহায়তায় প্লাটফর্মস ফর ডায়লগ (P4D) প্রকল্পের আওতায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট “NIMC Media Award-2022’’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।প্রতিযোগিতায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিজয়ীদের আজ রবিবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৫টায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এর শেখ রাসেল অডিটোরিয়ামে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন পিএএ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) এর সচিব মো. শামসুল আরেফিন, হ্যান্স ল্যামবেখট, প্রধান সচিব, টিম লিডার- ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ, টম মিসিওশিয়া, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আয়েশা আক্তার, ব্রিটিশ কাউন্সিলের কারিগরি সহায়তায় প্লাটফর্মস ফর ডায়লগ (P4D) প্রকল্পের টিম লিডার আরসেন স্টেপানিয়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শাহিন ইসলাম, এনডিসি।প্রতিযোগিতায় ভিডিও ক্যাটাগরিতে ৪ জন, প্রিন্টক্যাটাগরিতে ৭ জন এবং অডিও ক্যাটাগরিতে ৯ জন পুরস্কৃত হন।এতে, বরেন্দ্র রেডিও ৯৯.২ এফএম, নওগাঁর অনুষ্ঠান প্রযোজক শরিফ উদ্দিন অডিও ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে কনিষ্ঠতম বিজয়ী হিসেবে পুরস্কৃত হন। অনুষ্ঠানের শেষাংশে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
এসময় বরেন্দ্র রেডিওর অনুষ্ঠান প্রযোজক শরিফ উদ্দিন এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ আয়েশা আক্তার।পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রতিক্রিয়া পর্বে অডিও ক্যাটাগরি থেকে একজন এবং ভিডিও ক্যাটাগরি থেকে একজনকে বক্তব্য রাখতে বলা হয়। এসময় অডিও ক্যাটাগরি থেকে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র রেডিওর অনুষ্ঠান প্রযোজক শরিফ উদ্দিন। বক্তব্যে তিনি বলেন- এ অর্জন শুধু আমার নয়। এ অর্জন বরেন্দ্র রেডিওর এবং পুরো কমিউনিটি রেডিওর।
আগামী দিন আরো ভাল কাজের অনুপ্রেরনা জোগাবে এই পুরস্কার। অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ক্রেস্ট, সনদ এবং ২৫০০০ টাকা তুলে দেয়া হয়।প্রসঙ্গত, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক “সুশাসনের জন্য কৌশলগত যোগাযোগ” বিষয়ে গত ৬ এবং ৭ মে দুইদিনব্যাপী অনলাইনে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত প্রশিক্ষণে জাতীয় শুদ্ধচার কৌশল, তথ্য অধিকার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয় এবং সে বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।