পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিমীলক সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া রোধ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকগণ যাতে সচেতন ভূমিকা পালন করেন সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেন হাঙ্গার প্রজেক্টের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী চন্দ্র শেখর রায়।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের মধ্য কচুয়া গ্রামে শুক্রবার ১২ই আগষ্ট সকালে পরিকল্পনা সভার আয়োজন করা হয় ।উক্ত সভায় আদর্শ গ্রাম গড়ার লক্ষ্যে গ্রামের কিশোর কিশোরীদের মাধ্যমে এবং গ্রাম উন্নয়ন দলের সদস্যদের মতামতে গ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আদর্শ গ্রামের বৈশিষ্ট্য ও ঘাটতিগুলো চিন্হিত করা হয়।
মধ্য কচুয়া গ্রামের মধ্যে জরিপ করে দেখা যায়, প্রতি ১০জনের মধ্যে ২জন ব্যাক্তি স্বাস্থ্য সচেতন নয় এবং প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে ২/৩টি পরিবার পারিবারিক নির্যাতনের শিকার।যে বিষয়গুলি একটি গ্রামকে আদর্শ গ্রাম তৈরিতে প্রধান বাঁধা।
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল নিশ্চিত করা আদর্শ গ্রাম গড়ার প্রধান বৈশিষ্ট্য।বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষজন কতটুকু সচেতন সে বিষয়েও বিষদ আলোচনা করা হয় গ্রামের মধ্যে যারা এখনও টিকা গ্রহণ করেনি তাদের অনতিবিলম্বে টিকা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।বয়সের জটিলতায় যারা টিকা গ্রহণ করতে পারেনি তাদেরকে পূণরায় ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
আয়োজিত গ্রাম উন্নয়ন দলের পরিকল্পনা সভায় নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জাদু মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কে,এন,বি,স,প্রাঃবিদ্যালয়ের সহঃশিঃ পরিতোষ কুমার ঘোষ।সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নিজ গ্রাম উন্নয়নে সম্পৃক্ত বিভিন্ন পেশার সচেতন মানুষজন।