ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের অস্থায়ী সেবাদান কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। হামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষ ।
রোববার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সহস্রাইল বাজারে শেখর ইউপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী সেবাদান কেন্দ্রে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে এ হামলা চালায়।
এ ঘটনায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের স্বাক্ষর জাল করা জন্মনিবন্ধন দিয়ে নতুন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, শেখর ইউনিয়নে নতুন ভোটার তালিকার কাজ চলছে। সে অনুযায়ী রোববার শামিম নামে যুবক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরি করে নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চালায়। ভোটার তালিকা প্রণয়নে নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা জন্মনিবন্ধন সনদগুলো অনলাইনে সার্চ দেয়।
এতে ভুয়া প্রমাণিত হলে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ এ কাজে জড়িত সহস্রাইল গ্রামের ফটিক মোল্লার ছেলে কিবরিয়া মোল্লাকে (২৫) ডেকে জাল স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চায়।সে অস্বীকার করে এবং পরে কথা কাটা কাটি হয়। উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলে। ঐ খানে ঘটনা কিবরিয়া মোল্লার পক্ষের লোকজন জানতে পেরে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ বলেন, ‘নতুন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সহস্রাইল গ্রামের কিবরিয়া মোল্লা নামে এক যুবক আমার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরি করে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে ধরা পড়ে। এ বিষয়ে কিবরিয়াকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে এলাকার সৈয়দ জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে একদল বিএনপির সমর্থক আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
অফিসের আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ভাঙচুর করে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনায় রাতেই থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। সঠিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরবর্তী সময়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ১ নং হুকুম ও নেতৃত্ব আসামি সৈয়দ জিল্লুর রহমান বলেন,রাজনৈতিক প্রতি পক্ষ হওয়ায় ও সাম্প্রতিক ফুটবল খেলার আয়োজন নিয়ে বিরোধ চলে আসছে কামাল চেয়ারম্যান সাথে।তার জের ধরে আমাদের উপর মিথ্যা মামলায় দিয়েছে।
বাজারে ও তার অফিসের বাহিরে, ভিতরে সিসি ফুটেজ আছে, সেটা দেখে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক।আমরা রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলাম।চেয়ারম্যানর অফিস গলিতে যায়নি বা অফিস ভাংচুর করে বের হইনি সিসি ফুটেজ দেখেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ সত্য ঘটনা লেখেন।
কিবরিয়া মুঠো ফোনে বলেন,আমার কম্পিউটার থেকে জন্ম নিবন্ধন করি নাই। রাজনৈতিক ও ফুটবল খেলা কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ হওয়ায় আমার নাম শামিম কে দিয়ে জোর করে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। আমি অফিসের সামনে থেকে রাস্তায় চলে আসলে চেয়ারম্যান নিজে রাস্তার উপর আমাকে মারধর করে।সংবাদ শুনে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,হাতাহাতি শুরু হয়।আমরা অফিস ভাংচুর করি নাই।আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।সকল তথ্য প্রমান সিসি ফুটেজে ধারন আছে।সিসি ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক এটাই আমার দাবী।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দশ জন নামিয় ও ৩০/৪০অজ্ঞাতনামা আসামি করে অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় দ্রুত বিচার আইনে ২০০২(সংশোধনী) মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৬ তাং ১০-১০-২২,একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছ