বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর সোনাখালী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ভূয়া সনদে চাকরি করায় ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের বেতন ভাতা বন্ধের জন্য গত (৩ অক্টোবর) সোনালী ব্যংক আমতলী শাখা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। খোঁজ নিয়ে যানা জায়, ভূয়া সনদ দিয়ে উত্তর কালামপুর (কালিবাড়ী) নূরানী বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে গত (১ জানুয়ারী) ২০০৫ সালে যোগদান করেন।
সেখানে পাঁচ বছর চাকরি করার পর ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর সোনাখালী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরী করে আসছেন। বিষয়টি দৃষ্টি কোচর হলে গত (১ এপ্রিল ২২) ইং তারিখ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুয়া সনদে চাকরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ শিরোনামে সংবাদ প্রচার হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা অধিদপ্তর নরেচরে বসে। যার ফলে গত (২২ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করে এবং গত (৭সেপ্টেম্বর) ২০২২ ইংরেজী তারিখ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহিদুল ইসলাম (১ জানুয়ারি) ২০০৫ ইংরেজি তারিখে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে যোগদান কালীন উপস্থাপিত কৃষি শিক্ষা সনদটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত কোন বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে অর্জিত নয়।
সুত্রে আরও জানা যায়, সনদের গ্রহণ যোগ্যতা না থাকায় তার প্রথম যোগদানকারী প্রতিষ্ঠান উত্তর কালামপুর (কালিবাড়ী) নূরানী বালিকা দাখিল মাদ্রাসা ও বর্তমানে কর্মরত উওর সোনাখালী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের চাকরীর গ্রহণ যোগ্যতা বৈধ নয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপের বিষয় শিক্ষা তথ্য’কে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বিকার করেন।
অভিযোগের বিষয়ে সোনালী ব্যংক আমতলী শাখার ম্যানেজার বিশ্বজিৎ চ্যটার্জী বলেন, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।