রূপগঞ্জে ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে কৃষকের জমি বিক্রির চেষ্টা মামলা পিবিইইয়ে! বাদীকে প্রান নাশের হুমকী
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে ভোলাব ইউনিয়নের নিরিহ কৃষকের জমি ভূয়া ওয়ারিশ সনদ, চেয়ারম্যানের পত্যয়ন পত্র, এমনকি ভূয়া দাতা সাজিয়ে জমি বিক্রি করে কোটিপতি বনে গেছেন স্থানীয় একটি কু-চক্রি মহল।
মামলার তথ্য মতে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর গ্রামের মিন্নত আলী মাষ্টারের ছেলে লূৎফর রহমান(৪০), অছিমদ্দিনের ছেলে কবির (৪০) সাং কুড়িয়াইল চারিতালুক গ্রামের হানজত আলীর ছেলে আঃ রউফ @ ভূট্টু(৪০), একই গ্রামের মৃত-সামছুল হকের ছেলে, সোহরাব হোসেন শ্যামল(৪০), ভোলাব গ্রামের মৃত- মজরত আলীর ছেলে আঃ সাত্তারকে (৪৫) ব্বিাদী করে চারিতালুক গ্রামের আব্দুল হান্নান মিয়ার ছেলে আঃ গাফ্ফার(৩৫) বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
আঃ গাফ্ফার বলেন, আমার পিতা এখনও জীবিত আছেন। আমার বাবাকে মৃত বানিয়ে বিবাদী চক্র আমার বাবা এবং দাদার নামে নকল/ ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির জন্য সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস রূপগঞ্জে দলিল তৈরী করতে গেলে আমার ভগ্নিপতি আঃ মাজেদ মোল্লা জানতে পারে আমাদের আমাদের জমি আমার পিতার পরিবর্তে ভূয়া দাতা দাড় করিয়ে আনন্দ পুলিশ হাউজিং এর কাছে আরএস খতিয়ান- ৩৮২১ ও আর এস দাগ-২৬০০ এর মোট ২১.২০ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করার চেষ্টা করছে। তিনি আমাকে ফোনে জানালে আমি তাৎক্ষনিক রূপগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি রেজিষ্ট্রিতে বাধা দেই। এবং ঘঠনার বিস্তারিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুকে জানালে তিনি এই বলে আমাকে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন যে, জালিয়াত চক্রের তৈরী করা সকল সনদ ভূয়া এবং আমার স্বাক্ষর কম্পিউটার স্কেনিংয়ের মাধ্যমে বসিয়ে তা তৈরী করেছে প্রতারক চক্র।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লূৎফর রহমানের সাথে টকটি শক্তিশালী চক্র দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকার গরীব অসহায় মানুষের জমির ভূয়া কাগজ তৈরী করে দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রতারনা করে আসছে। সোহরাব হোসেন শ্যামল বিআরটিসিতে চাকুরী করে কতইবা বেতন পান, পাশাপাশি জালিয়াতীর মাধ্যমে গড়েছেন অডেল টাকার সম্পত্তি।
এ ব্যাপারে আঃ রউফ @ ভূট্টু বলেন, আমি এই জমি বা মামলার বিরুদ্ধে কিছুই জানিনা। লুংফর এই জমির দালালী করে জালিয়াতী করেছে। আমি বাদীর সাথে কথা বলেও এর সত্যতা প্রমান করেছিযে আমি এই জমি সংক্রান্ত মামলার সাথে জড়িত নই।
এলাকাবাসী আরো জানায়, লূৎফর রহমানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নামে রূপগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সত্যতা যাচাইয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ভোলাব ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুর সাথে তিনি বলেন, এই জালিয়াত চক্রটি দীর্ঘ দিন যাবৎ সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে। মামলার বাদী আমার কাছে জালিয়াতদের তৈরী করা কাগজগুলোর ফটোকপি নিয়ে আসছিল আমি দেখেই বুঝতে পারি এগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে বানানো। তাই আমি এই মামলার বাদী আঃ গাফ্ফারকে এগুলো ভূয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করে প্রত্যয়ন পত্রও প্রদান করি।