পাবনা জেলার হেমায়েতপুর ইউপির কাশিপুর বাজারের নাফিস ট্রেডার্সের কর্ণধার মোঃ জহির হোসেনের উপর ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালায় এালাকার কতিপয় কিছু নামধারী সন্ত্রাসী৷
পরবর্তীতে খবর পাওয়া মাত্রই দৈনিক পাবনার চেতনার প্রধান প্রতিবেদক এবং স্টাফ রিপোর্টার সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷
জানা যায়,কাশিপুর এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী সুলতান, সবুজ, মাহফুজ, আলামিন দীর্ঘদিন ধরে নাফিস ট্রেডার্সের মূল কর্ণধার মোঃ জুয়েল ইসলামকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে তার উপর বিভিন্ন রকম ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় পরবর্তীতে দোকানের আরেক কর্ণধার মোঃ জুয়েল ইসলামের ছোটো ভাই মোঃ জহির হেসেনের উপর ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালায় এবং সে আহত হয়৷
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, আসামি সবুজ এবং মাহফুজ-জুয়েল এবং জহিরের চাচার জমি কেনে এবং পরবর্তীতে দাবি করে চাচার সম্পত্তির কিছু অংশ তাদের সীমানায় রয়েছে৷ দলিল দেখিয়ে যখন জুয়েল দিতে অস্বীকার করে তখনই তার উপর আক্রমন চালায় এতে আহত হয় তার ভাই জহির৷
অন্য একটি সুত্রে জানা যায়,আহত জহির হোসেন পাবনা সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সভাপতি,পাবনা জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাবেক সভাপতি, সাবেক সহ-সভাপতি পাবনা জেলা ছাত্রলীগ৷
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর সৌরভ কুমার চন্দ্র দৈনিক পাবনার চেতনাকে জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
আমিনুল ইসলাম দৈনিক পাবনার চেতনাকে জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ও আমি কোনো তথ্য পায়নি,এ বিষয়ে তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উত্তরণ সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি আলমগীর কবির হৃদয়, থিয়েটার ৭৭ এর আবুল কাশেম, তহুরা আজিজ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান মাহবুব, চেতনা ফাউন্ডেশন এর সাংগঠনিক কে.এম. আতিক হাসান, প্রদীপ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা মুশফিক পারভেজ রোহান, প্রতিশ্রুতি সেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্থা এর সভাপতি আব্দুল আওয়াল তুহিন ও রোটার্যাক্ট ক্লাব অব পাবনার সভাপতি আশিকুর রহমান ছাব্বির প্রমুখ।
পাবনা জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাবেক সভাপতি জহির হোসেন এর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারি দেন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।