এই শহরে আপন বলতে পাখিটাই একমাত্র আপনজন। সে এতো অল্প সময়ে এতোটা ভালোবাসা দিয়েছে যে অন্য কোন দিকে আর মনোযোগ দেওয়া হয়নি।তবে আমি শুধু সীমাহের দৃষ্টিতে তার ডাগর চোখ দুটোই দেখেছি।যতবার তাকিয়েছি ততোবারই মায়া ব্যাতিত অন্য কিছু আবিষ্কার করতে পারি নাই।
বারবার মনে হয়েছিল এই চোখ দুটো সত্যি সমুদ্রের চোখ এবং সঙ্গে সঙ্গে আমার রবের শুকরিয়া আদায় করেছি। মাঝেমধ্যে কিছু রুপকথার ফিনিক্স ঐ চোখে দোলা খেয়েছিল তাও দেখছি।আসলে সে এতোটাই সুন্দর চোখের অধিকারী! যা,অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখলে আমার মতো যেকেউ সবকিছু ভুলে শুধুমাত্র ঐ চোখ দুটোর মায়ায় আঁটকে যাবে।জানি না, শত-সহস্র চেষ্টা করে আপনি মন ফিরাতে পারবেন কি না?তবে আমি নিশ্চিত ঐ চোখ দুটো ব্যাতিত আমি আর কারো ভালোবাসায় আকৃষ্ট হতে পারবো না।
রাতের শেষ প্রহরে আজানের সুমধুর সুর ভেসে আসে কিন্তু ঘুম যেন কিছুতেই ভাঙ্গে না।আর যেদিন থেকে পাখিটা সঙ্গী হয়েছে,, সেদিন থেকে যেন ফজরের নামাজ বাদই যায়না।আমি খেয়াল করে দেখেছি ঝাপসা অন্ধকারে মুয়াজ্জিনের সুরে সুর মিলিয়ে সেও কিচিরমিচির শুরু করে দেয়। আমি ও আদায় করে নেই সালাত।তারপর আবারও ঘুমিয়ে যাই, আর এই ঘুম যেন সুন্দর আরও এক জোড়া চোখের স্বপ্ন দেখে,!আর এই সুন্দরের বর্ননা করতে সাহস আমার নাই। এমন এক সুন্দর যা নিত্য নতুন সব সৌন্দর্য একত্রে করে বুকভরা আকুতি নিয়ে হাজার-হাজার বছর বাঁচতে চায়…….!
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ