বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) স্বাধীনতা স্মারকের ফলক ও উন্মোচনের গাছ কাটার প্রতিবাদে ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ) এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সংলগ্ন স্বাধীনতা স্মারক মাঠে ফলক ও গাছ কাটা স্থানের পাশে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলোঃ
১. কর্তনকৃত গাছের বাকী অংশ শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে।
২. কর্তনকৃত গাছের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. সঠিক পরিকল্পনা অনুসারে সকল গাছের পরিচর্যার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪. উক্ত ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে সঠিক পরিকল্পনা অনুসারে ১০১টি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।
৫. কি স্বার্থ হাসিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিভিন্ন ফান্ডিং ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে বৃক্ষ রোপণ হয়েছে এবং তাদের ভূমিকা অস্বীকার কেনো করা হয়েছে তা সকলের সামনে পরিষ্কার করতে হবে।
মানববন্ধনে একজন বলেন, ক্যাম্পাসে তুহিন ওয়াদুদ স্যারের সব গাছ লাগানো না। এই গাছগুলো লাগানো থেকে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু তুহিন ওয়াদুদ স্যার এটার পুরো ক্যাম্পাসে গাছ লাগানোর ক্রেডিট নিয়ে থাকেন।
আরেকজন বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় এত গাছ লাগিয়েছেন কিন্তু এর কোন পরিকল্পনা নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতো, সেই মাঠে অপরিকল্পিতভাবে গাছ দিয়ে ভর্তি করে রেখেছেন।
তিনি পরিকল্পনা ছাড়া যত্রতত্র গাছ লাগান। যার কারণে ক্যাম্পাসে জঙ্গল পরিনত হচ্ছে।হল মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি তার গাছকে বেশি গুরুত্ব দেন, বাকিদের লাগানো গাছ তিনি উঠিয়ে ফেলেল বলে অভিযোগ রয়েছে।শিক্ষার্থীদের দাবি এমন অপরিকল্পিত বনায়ন বন্ধ হোক।
অভিযোগকৃত শিক্ষক তুহিন ওয়াদুদ এ বিষয়ে বলেন, “যেহেতু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনকে অভিযোগপত্র দিয়েছি। বিষয়টা প্রসাশনই দেখবেন।”
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মঞ্চ সাজানোর কেন্দ্র করে গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে এবং ১৩ অক্টোবর সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতা স্মারকের ফলক ও গাছটিতে কাফনের সাদা কাপড় লাগিয়ে নিরব প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।