বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ আসন- ২ (আমতলী উপজেলা) থেকে প্রতিদ্বন্দিতাকারী দুই সদস্য পদপ্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় জয়-পরাজয় নির্ধারণে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনা জেলা প্রশাসক কর্তৃক একতরফা লটারী দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন প্রতিদ্বন্দি সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা (টিউবয়েল)।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টায় আমতলী সদর ইউনিয়ন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সদ্য সমাপ্ত বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ আসন-২ (আমতলী উপজেলা) থেকে টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতাকারী আবুল বাশার নয়ন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার অপর প্রতিদ্বন্দি সদস্য প্রার্থী আহুরুজ্জামান আলমাছ খান (হাতি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেই। নির্বাচনে আমরা উভয় প্রার্থী ৪৫টি করে ভোট পাই।
সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় জয়-পরাজয় নির্ধারণ করতে নির্বাচণী পরিপত্রের ২২ ধারায় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে লটারীর আয়োজন করেন। ওই লটারী করার সিন্ধান্তটি আমাকে এবং আমার নির্বাচনী এজেন্টকে না জানিয়ে একতরফাভাবে আয়োজন করে আমার প্রতিদ্বন্দি অপর সদস্য প্রার্থী আহুরুজ্জামান আলমাছ খানকে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমরা দুই প্রতিদ্বন্দি সাধারণ সদস্য প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় জয়-পরাজয় নির্ধারণে লটারীর মাধ্যমে না গিয়ে পুনঃরায় ভোটের দাবী করেছিলাম। কিন্তু জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনা জেলা প্রশাসক আমার দাবী না মেনে এবং আমাকে বা আমার নির্বাচনী এজেন্টকে না জানিয়ে একতরফাভাবে লটারীর সিন্ধান্ত নিয়ে আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন তা আইন সম্মত নয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার একতরফা সিন্ধান্তের বৈধতা নিয়ে আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মিলন মৃধা, সাইদুল হক মাস্টার, ইফতেকার রসুল তপন প্যাদা, থ্রি-হুইলাম শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খোকন মৃধা, সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা ও আমতলীতে কর্মরত বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাংবাদিকরা।