গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রংপুর শহর থেকে প্রাইভেটকারে করে গঙ্গাচড়ায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বাবলু। এসময় বুড়িরহাট ঈদগাহ মাঠ এলাকায় সাইট দেয়াকে কেন্দ্র করে খোকনের সঙ্গে বাবলুর গাড়িচালকের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলচালক খোকন প্রাইভেটকারটি ওভারটেক করে মৌলভীবাজারে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান এবং প্রাইভেটকারের গতিরোধ করেন।
এসময় বাবলু গাড়ি থেকে নেমে আসা মাত্রই পাশের ভাংরি দোকান থেকে রড নিয়ে এসে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন খোকন। এতে বাবলু হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় হামলাকারী খোকনকে গ্রেফতারের দাবিতে তাৎক্ষনিক এবং পরের দিন গঙ্গাচড়া বাজারে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর হামলাকারী খোকন মিয়াসহ (৩০) দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় এলাকা থেকে খোকন মিয়াকে এবং গঙ্গাচড়া সদরের আরাজী নিয়ামত এলাকা থেকে একরামুল হক (৪২) নামে এক ভাংরি দোকানদারকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার খোকন গঙ্গাচড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরাজী নিয়ামত গ্রামের মঞ্জুম আলীর এবং একরামুল হক একই গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন জানান, আসাদুজ্জামান বাবলুর ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বাবলুর চাচা মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মামলা করেছেন। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রাত সাড়ে ১২টার দিকে খোকনকে রংপুর মহানগরীর মর্ডান মোড় থেকে এবং একরামুলকে তার বাড়ির এলাকা থেকে গ্রফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া হামলায় ব্যবহৃত রডটিও জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।