বিএমএসএফকে সুশৃঙ্খল সংগঠনে বিকশিত করতে জরুরি সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
ঢাকা ১৯ অক্টোবর বুধবার ২০২২ খ্রীঃ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর সভাপতির গুলশানস্থ কার্যালয়ে আজ বিকাল ৪ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিততে সাধারণ সভা সফল করতে এক জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান এর সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় কার্যকারী সভাপতি সাইদুর রহমান বাবুল, সহসভাপতি পাবনা জেলা সভাপতি আব্দুস সালাম, সহসভাপতি কক্সবাজার জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আনসারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নরসিংদী জেলা সভাপতি মোশারফ হোসেন নীলু, যুগ্ম সম্পাদক ঢাকা জেলা সভাপতি রেজা নওফেল হায়দার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কক্সবাজার জেলা সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ একলাস উদ্দিন রিয়াদ, সহ সম্পাদক খোরশেদ আলম, উপ প্রচার সম্পাদক রাকিবুল হাসান আহাদ, সদস্য ও টেকনাফ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বক্তারা বলেন
সংগঠনের এক চরম সংকট ক্রান্তিকালে আমরা সংগঠনটির হাল ধরেছিলাম, সভাপতি নিজে বিগত দিনের অফিসের বকেয়া ৭৫ হাজার টাকার ভাড়া পরিশোধ, নতুন অফিসের এডভান্স ভাড়াসহ ৫৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন নেতাকর্মির সহায়তা বিভিন্ন সমস্যা সংকট নিরসনে অর্থিক সহায়তা যুক্ত হয়েছে। যার সকল উত্তেলিত অর্থ সম্পাদকের নাম্বার এবং দোকান থেকে আহমেদ আবু জাফরের বিকাশ নাম্বারে প্রেরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের পর বারবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও অদ্যাবধি আমাদেরকে সাবেক সমন্বয়ক ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর কোন রেজিস্টার খাতা বা বকেয়া আয় ব্যায়ের হিসাব বুঝিয়ে দেননি বরং এই কমিটি গঠনের পরেও তিনি আমাদের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে নিজের হাতে একক ভাবে খরচ করছেন। বিভিন্ন কমিটি ঘোষণা দিচ্ছেন সদস্য ফি আদায় করছেন, বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দের খবরদারি করছেন। অথচ সংগঠনের নামে সোনালী ব্যাংক রমনা কর্পোরেট শাখা ঢাকা একাউন্ট থাকার পরেও বিরোধীতা করে বিকাশবাজী করে যাচ্ছেন, কমিটি ঘোষণা দিচ্ছেন, সদস্য ফি নিচ্ছেন, কোন হিসাব দিচ্ছেন না, তাকে কোনো ভাবেই তাকে থামানো যাচ্ছে না।
ট্রাস্টি নিবন্ধ দলিল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির গঠনতন্ত্র অধিকাংশ সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। দুটির পার্থক্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম নীতিমালা অনুসারে সাংগঠনিক নিয়মে সংগঠন পরিচালনায় একমত পোষণে তিনি রাজি হচ্ছেন না। ট্রাস্টি দলিল মোতাবেক তাঁর সাত সদস্যের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ১২১ সদস্যের নেতৃত্ব বা কর্তৃত্ব করার সুযোগ নাই বলে আলোচকেরা একমত পোষণ করেন।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক একটি সাংবাদিক সংগঠন কারো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হতে পারে না। ট্রাস্টি নিবন্ধ দলিল নং ৬ অনুযায়ী এটা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করেছেন। ট্রাস্টিবোর্ড থেকে সংগঠন ও সাংবাদিকদের সহায়তায় করার বিধান থাকলেও তিনি উল্টো সংগঠন ও সাংবাদিকদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। যাহা কারো কাম্য নয়। এমতবস্থায় সাংবাদিকদের স্বার্থের কথা বলে, তার নির্দেশিত পথে ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলা নেতৃবৃন্দদের ধোকা দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমাদের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। গঠনতন্ত্রের বাহিরে সাংগঠনিক নিয়ম নীতিমালা অনুসরণ না করে ব্যক্তির প্রেসক্রিপশনে আসাংবিধানিক অগঠনতান্ত্রিক ভাবে সংগঠনটি পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলে সকলেই মতামত প্রদান করে একটি সাধারণ সভা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
গত ৬ মাসে সংগঠনের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সিলেট সুনামগঞ্জ বন্যার্থদের মাঝে ৮ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। নরসিংদীর এক সাংবাদিকের মৃত্যুতে আর্থিক সহায়তা ও ছেলেকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক একাউন্ট হয়েছে। অফিসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সেল্টার হোম করে দেওয়া হয়েছে। নানামুখী ভাল কাজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যেয়ে দেখা যায়। কতিপয় আদব কায়দা বিবর্জিত দালাল চামচা পরিবেষ্টিত অসাংবাদিক লোক দিয়ে সম্মান মর্যাদা নিয়ে খেলা করে, প্রতিটি কাজে কেন্দ্রীয় গ্রুপে চরম বিশৃংখলা নৈরাজ্য সৃষ্টির অসাংগঠনিক আলোচনা করে পরিবেশ নষ্ট করে তা নিরসন হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কারো দ্বারা সংগঠনের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ অশালীন আচরণ ও লাঞ্চিত হওয়া এতে সংগঠনের অভ্যন্তরে চরম বিশৃংখলা দেখা দেয়। সংগঠনটি বারবার সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালিত হতে বাধাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির চূড়ান্ত তালিকা একজনের আমিত্ব কর্তৃত্বের অসহযোগিতার জন্য আজও প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থা চলতে পারে না। তাকে সংগঠনের নিয়ম মেনে সমন্বয় ও সহযোগীতার আহবান জানানো হয়। সংগঠনের সকল কেন্দ্রীয় ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাধারণ সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহকে কারণ দর্শনো নোটিশ ব্যাতিরেকে অব্যাহতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রকাশ সম্পূর্ণরূপে অবৈধ গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান বহির্ভূত হয়েছে বলে তাকে স্বপদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যিনি অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি সেই ক্ষমতা রাখেন না। ট্রাস্টি দলিল দ্বারা ট্রাস্টিবোর্ড পরিচালিত হয়। বিএমএসএফ সংগঠন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি দ্বারা পরিচালিত। দুটি আলাদা ভিন্ন স্তর বা প্রতিষ্ঠান। পৃথক দলিল ও গঠনতন্ত্র রয়েছে।