আগামী ২৭ শে অক্টোবর বরিশােলর হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে সকলকে নিয়ে বর্ধিত সভা আহ্বান করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ ২১ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগের খুন্না বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় বর্ধিত সভা শুরু হওয়ার আগেই হট্টগোল বেজে যায়।
এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম সরদার নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। কতিপয় কর্মীরা ফারুকুল ইসলাম সরদার কে সভা থেকে বের করে দেন। বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন আসেননি ।
সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বিষয়ে কতিপয় নেতা কর্মীদের জেরার সম্মুখী হন সুলতান মাহমুদ টিপু। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আগামী ২৭ অক্টোবর হিজলা উপজেলা আওয়ামিলীগের সম্মেলন উপলক্ষে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নির্দেশে আজ বিশেষ বর্ধিত সভা ডাকা হয়। আমি সভাস্থলের কাছাকাছি ২০/২৫ জন কর্মীসহ আসলে আমাদের সভাপতি সাহেব মোবাইলে আমাকে আসতে নিষেধ করেন।
আমি কারণ জানতে চাইলে বলেন, পরিবেশ ভাল নয়। আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি একটি স্বার্থান্বেষী মহল চায় না সম্মেলন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হউক। তারা পরিকল্পিতভাবে আজ সভায় বিশৃঙ্খলা করতে বেশকিছু উশৃংখল লোকজন জড়ো করে সভাটা বানচাল করে।
আমি এলে হয়তো নেতাকর্মীদের সাথে গাঁয়ে পড়ে অঘটন ঘটাতে পারে সেকারণেই সভাপতি আমাকে আসতে নিষেধ করেন।আমি চাই আমাদের অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় ২৭ অক্টোবর হিজলার সম্মেলন সফল হউক।
হিজলায় আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেক দিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। একটি সূত্র জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ এর নির্দেশে আওয়ামিলীগ এর সকল নেতা কর্মী দের নিয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করে সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপু। পদপ্রত্যাশী নেতারা পূর্বের কমিটি বহাল থাকতে পারে এমন সংঙ্কায় এমন উদ্ভট পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।