‘স্বেচ্ছায় রক্তদান হোক সামাজিক আন্দোলন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রক্তদান সংগঠন বাঁধনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার( ২৪ অক্টোবর) দিনটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১ টায় ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর থেকে আনন্দ র্যালী বের হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্কের মোড় হয়ে আবারও মিডিয়া চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর লাল ফিতা ও কেক কাঁটা হয়।তারপর ক্যাম্পাসে বৃক্ষ রোপণ করা হয়। এছাড়া দিনটি উপলক্ষে ২৫ অক্টোবর ৪ টায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হবে বলে জানায়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। তিনি বলেন, বাঁধনের মাধ্যমে আমরা সেচ্ছায় রক্ত দিয়ে অনেকের জীবন বাঁচাতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী তরুণেরা সেচ্ছায় এ কাজটি করছে। আমরা এ ধরনের সামাজিক কাজের মাধ্যমে একে অপরের আত্মার বন্ধনে বেঁধে আছি। এটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলাম,গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিউল আজম খান, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ-উল-হাসান, জনসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বাঁধন এর কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
বাঁধন ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে কার্য়ক্রম শুরু করে। সংগঠনটি সারা বছর বিভিন্ন কার্য়ক্রম পরিচালনা করে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অত্র ভার্সিটির শিক্ষকদের সহযোগিতায় স্থাতক-১ম বর্ষের ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে । এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিনামূল্যের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও সচেতনতামূলক কার্য়ক্রম পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতে কর্মী সংগ্রহ করে।তাছাড়া প্রতিদিন মেডিকেল কলেজসহ রংপুর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের মুমূর্ষ রোগীদের জন্য বিনামূল্যে রক্তের যোগান দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন প্রতিষ্ঠিত হয়। যাত্রা শুরু থেকে মুমূর্ষুদের বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনামূলক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটির কর্মীরা।