"টাকাতো আমি একাই খাই না সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাই" এমন কথা বললেন রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর পরিচ্ছন্ন কর্মী শুগাপতি বাস্ফর।
গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাচ্চা জন্ম নিলেই তাদের খুশি করতে হবে দিতে হবে তাদের ঘুষ। ঘুষ না দিলে নানা রকমের ভয়ভীতি সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী।
তথ্য সংগ্রহ করতে এসে আমাদের সাথে কথা হয় নয়নতারা নামে এক নবজাতক শিশু প্রসব করা এক মায়ের সাথে , তিনি বলেন, এর আর আগের সন্তান জন্ম হওয়ার পর আমি সবাইকে মিষ্টি ও নাস্তা খাওয়ার পর ও আমাদের কাছে ৫০০ টাকা নিয়েছে । আমার আমার এ সন্তানটি জন্ম হওয়ার পর নেওয়া হয়েছে ১০০০ টাকা।আমরা গরিব মানুষ বলে তো মেডিকেল এ আসি আর এখানে ঘুষ দেওয়া লাগে । সাইফুল ও পরিচ্ছন্ন কর্মী শুগাপতি বাস্প জোর পূর্বক ভাবে টাকা নেয়।
হাফিজ মিয়া বলেন, আমার মায়ের অপরেশন এর পর আমাকে এসে বলল, অপারেশন সাকসেসফুল আমাদের জন্য নাস্তা ও মিস্টির ব্যবস্হা করেন। আমি তখন মিস্টি ও নাস্তার ব্যবস্থা করলাম কিন্তু তবুও আমার কাছে ৫০০ টাকা ঘুষ নেয় এবং যদি টাকা না দেন তাহলে শিলাই দিতে গন্ডগল করবো। তারপর আমাকে চাপে ফেলে টাকা নেয় কিছুক্ষণ পর আমি উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে কল দেই ।তখন তিনি( ইউএনও) আমাকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।এরপর আমি স্যোসাল মিডিয়া ( ফেসবুক) পোস্ট করি । তারা ফেসবুক দেখার পর আমাকে ডেকে বলে আপনাকে আমরা টাকা ফেরত দিবো আপনি পোস্ট ডিলেট করেন । আমরা তো টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছি। আগামীকাল এসে টাকা ফেরত নিয়ে যান। পরের দিন আমাকে টাকা ফেরত দেয়। ওটি বিভাগের সাইফুর সাথে কথা হলে বলেন,আমরা চা নাস্তা খাওয়ার জন্য অল্প টাকা বকশিস হিসেবে নিয়ে থাকি। সিজার অপারেশন রোগীর সাথে কথা হলে তারা সবাই বলেন আমাদের কাছেও টাকা নিয়েছে ।
রিতা নামে এক ব্যক্তি বলেছেন, তারা কি সরকার থেকে বেতন নেয় না। ওটিতে থাকে সাইফুর সেও আমার কাছে জোর করে টাকা নিচে এবং অনেক ভয় ভীতি প্রদর্শন করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড.মোঃ আসিফ ফেরদৌস বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাকে লিখিত অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ