চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ধোরলা-কানুনগোপাড়া আর্বান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে সঞ্চয় করে সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না গ্রাহকরা। এ নিয়ে কয়েকজন গ্রাহক জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের সুত্র ধরে তদন্তে নামে সমবায় অধিদপ্তর।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বখতেয়ার আলম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আর্বান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে কার্যালয়ে পৌঁছালে খবর শতশত গ্রাহক জড়ো হন। উপস্থিত গ্রাহকেরা তাদের সঞ্চয় ফেরত চাইলে কয়েকজন গ্রাহকের সঞ্চিত টাকা ফেরত দেন প্রতিষ্ঠানটির অর্থ সম্পাদক ও ৯ নং আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল দে।
জানা যায়, সঞ্চয়ী টাকা উত্তোলনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ধর্না দিয়ে ছালেয়া বেগম, ডেজি আকতার ও রাবেয়া বেগম চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত চলাকালীন সময়ে কাজল দি আবার্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটির লিমিটেডের সদস্য রিপা রক্ষিত ১০ হাজার, ছালেয়া বেগম ৩০ হাজার, রাবেয়া বেগম ২০ হাজার, মনি রক্ষিত ৭ হাজার, মঞ্জুশ্রী রক্ষিত ৪ হাজার, নমিতা রক্ষিত ৫ হাজার, শিল্পী ঘোষ ২০ হাজার, রাসেল দে ৩ হাজার, শোভা দাশ ২০ হাজার ও ডেজি আকতারকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন। অন্যান্য গ্রাহকের টাকা পরবর্তী সময়ে প্রদানের আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান কাজল দে।
টাকা পেয়ে ছালেয়া বেগম বলেন, লভ্যাংশ তো দূরের কথা সঞ্চয়ের ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি।
আরেক গ্রাহক রাবেয়া বেগম বলেন, সঞ্চয় করেছিলাম ৪২ হাজার ৭০৪ টাকা। আমাকে দেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বাকি টাকা কবে দেবে বলেনি।
দি আবার্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটির লিমিটেডের
প্রতিষ্ঠানের অর্থ সম্পাদক ও ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল দে বলেন, আমি মাছ বিক্রি করে টাকা এনে দিয়েছি। গ্রাহক তো অনেক আছে। আমরা কয়েকজন গ্রাহককে টাকা দিয়েছি।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বখতেয়ার আলম বলেন, অভিযোগকারিরা উপস্থিত হয়েছেন। তাদেরকে চেয়ারম্যান নিজের তহবিল থেকে আংশিক টাকা পরিশোধ করেছেন। তদন্ত এখনো চলমান আছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে আমরা জেলা সমবায় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিব।