মেহেরপুরের গাংনীতে সাবিনা খাতুনকে (৩৩) হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে তার স্বামী বিদ্যুৎ হোসেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর আত্মহত্যা করে সে। বুধবার সকালে নিজ কক্ষ থেকে সাবিনা ও দুপুর ২ টায় বাড়ির পার্শে একটি বাঁশবাগান থেকে বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামের হুদা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাবিনা খাতুন কুঞ্জনগর গ্রামের বিদ্যুতের স্ত্রী ও পার্শবর্তী কুমারীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে এবং বিদ্যুৎ হোসেন কুঞ্জনগর গ্রামের ওলি বিশ্বাসের ছেলে।
নিহত সাবিনা খাতুনের বড় বোন শারমিন খাতুন বলেন, গত দুই মাস পূর্বে রুয়েরকান্দি গ্রামের ওলি বিশ্বাসের ছেলে বিদ্যুতের সাথে তার ছোট বোন সাবিনার বিয়ে হয়। ইতোপূর্বে বিদ্যুৎ চারটি বিয়ে করেছিলো শারীরিক সমস্যার কারনে অন্য বউরা চলে গেছে। বিদ্যুৎ প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আমার বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বিদ্যুৎ ও তার পরিবারের সদস্যরা সাবিনা খাতুনের উপর মানষিক নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ভাই মাকুল সহ কয়েকজন ছোট বোন সাবিনাকে নিতে আসে। ভাইদের সাথে সাবিনাকে না পাঠিয়ে ভাইদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয় বিদ্যৎ তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাতেই সাবিনার মাথায় শীল পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে,স্থানীয়রা বিদ্যুতের মরদেহ বাড়ির পার্শে একটি বাঁশবাগানে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় একটি সূত্রের ধারনা,স্ত্রীকে হত্যার পরপরই বিদ্যুৎ বাঁশবাগানে গলায় গামছা বেঁধে আত্মহত্যা করে। তবে বিদ্যুতের পরিবারের কোন সদস্যকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন,সাবিনা খাতুন ও বিদ্যুতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সার্বিক ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ