ভূমিদস্যূ রাশেদের তান্ডবে অতিষ্ট এলাকাবাসী!! রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখলের পায়তারা
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী নাদিম ও রাজুর ক্রয়কৃত জমি বিভিন্ন ভাবে মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যপারে গত পহেলা নভেম্বর মঙ্গলবার নাদিম ও কাদির মোল্লা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, কাদির মোল্লা (৫৭), রূপগঞ্জ থানার অর্ন্তগত বাড়িয়াছনী মৌজার আর এস এ – ৬০, ও আর এস ৭৬ নং দাগে ১৪.৭১ শতাংশ জমি দাগের উল্লেখিত বৈধ ওয়ারিশগনের কাছ থেকে সাবকবলায় ক্রয় করে দীর্ঘ দিন ভোগ দখলে থাকা অবস্থায়, আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন থাকায় নাদিম এবং রাজুর কাছে জমি বিক্রি করি। বিক্রির পর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বালি ভরাটসহ বাউন্ডারী ওয়াল নির্মানের চেষ্টা করলে উপজেলার দক্ষিনবাগ গ্রামের বসির উদ্দিনের ছেলে বিবাদী রাশেদুল ইসলাম(৩৫) ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জমিতে বাধা প্রদান করে এবং চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় উক্ত জমিতে বিভিন্ন সময় দলবেধে এসে ঝামেলা তৈরী করে।
সাম্প্রতি উক্ত জমিতে বিদ্যুতের খৃুটিতে তার নিজের নামের সাইবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়, রাশেদুল ইসলাম ও উপজেলার বাড়িয়ারটেক গ্রামের শাহজাহান মোল্লার ছেলে শিপলু মোল্লা(৩৫) জোগসাজোরে স্থানীয় লোকজনদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভূমিদস্যুতার জন্য রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে স্থানীয় ভূক্তভোগী হাজারো জমির মালিক।
৩০ শে সেপ্টেম্বর তা জাতীয় ও স্থানীয় বেশ কিছু গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর পরও ক্ষ্যান্ত হয়নী ভূমি দস্যু রাশেদুল ইসলাম। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে জানায় স্থানীয় অনেকে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোতাহার হোসেন নাদিম বলেন, আমি এবং আমার ব্যবসায়ী পার্টনার রাজু দুজনে সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে রূপগঞ্জ থানার অর্ন্তগত বাড়িয়াছনী মৌজার আর এস এ – ৬০, ও আর এস ৭৬ নং দাগে ১৪.৭১ শতাংশ জমি কাদির মোল্লার কাছ থেকে ক্রয় করে বালি ভরাট ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মানের সময় থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানী ও হুমকী প্রদান করছে রাশেদুল ইসলাম ও তার সহযোগী শিপলু মোল্লা। তাদের দাবী উক্ত জমি ভোগদখল করতে হলে তাদের মোাটা অংকের চাঁদা দিতে হবে। না হলে আমাদের প্রশাসন দিয়ে হয়রানীসহ জান মালের ক্ষতি করবে।
এ ব্যপারে রাশেদুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উক্ত দাগে আমার ওয়ারিশবর্গ জমি পাওনা। সেই সুবাদে আমি এখানে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।
এ ব্যপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমরা পৃথক দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।