ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জোরপূর্বক সংখ্যালঘু সনাতনধর্মাবলম্বীদের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে জলিল গংদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার শেখর ইউনিয়নের নিধিপুর ১২৬ নং মৌজার এস এ দাগের ১৫ নং, বিএস ১৫ নং দাগের ৪৮ শতাংশ জমির ক্রয় মূলে মালিক পোয়াইল গ্রামের রাধানাথ দাসের স্রী মীরা রানী দাস।
নিধিপুর মৌজার ৪৮ শতাংশ জমির মূল মালিক জিতেন্দ্রনাথ ধরের। তবে তার কাছ থেকে ক্রয় করেন মীরা রাণী দাস। ক্রয়ের কিছু দিন পরে মীরা রাণীর বিরুদ্ধে প্রিয়েমশন করে রায় পান নিধিপুর গ্রামের হারেজ শেখ। ওই জমির সকল কাগজ পত্র নিয়ে মীরা রাণী সিনিয়র জর্জ কোর্টে আপিল করে রায় তার পক্ষে নিয়ে নেন।
এই রায়কে অমান্য করে হারেজ শেখ মীরা রাণীর বিরুদ্ধে আপিল করেন ঢাকা হাইকোর্টে। ২০০৯ সালে একরতফা রায় তার পক্ষে পেয়ে যান। রায় পাওয়ার আগে হারেজ শেখ মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে ৫ বছর পরে ২০১৫ সালে হারেজ শেখের ছেলে জলিল গংরা জানতে পারে তার বাবা এ জমির রায় পেয়েছেন।
এর পর থেকে সকল কাগজ পত্র উত্তোলন করে ৫ বছর পর ফরিদপুর সহকারি জর্জ আদালতে জমি পতে আপিল করেন। এ আপিল যদিও ৩ বছরের মধ্যে করতে হয়। তা না হলে এ রায় বা মামলা তামাদি হয়ে যায় বলে জানান মীরা রানীর আইনজীবী জ্ঞান বাবু। তার পরেও জলিল গং ওই জমি পেতে কৌশলে আপিল করে তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে মীরা রাণী ঢাকা হাই কোর্টে আপিল করে (১৩.০৭.২০১৫) রায় স্থগিতাদেশ জারি করেন।
এর পরে আবারও (২৭.০৭.২০১৫) সালে রায় বাতিল করেন। এর পরে জলিল গং কৌশলে জর্জের নাজির লুৎফর রহমানের নামে ১৬৬ নং চালানে ১৫০০ টাকা পাস হয়। তবে এ চালান নথি ভুক্ত করে রাখার আদেশ হয়। তবে জলিল গং ভূয়া দখলদারি এনে ২৭.০৬ ২০১৫ সালে দখল দেখান। তবে মামলার রায় বাতি হয় আরও ১ মাস আগে। এই জমি জোরপূর্বকভাবে ভূয়া কাগজ মূলে দখল করা হয়।
জলিল গং যবর দখল করে প্রকৃত জমির মালিক মীরা রাণী ও তার পরিবারের লোকজনকে ভয় দেখিয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই ৪৮ শতাংশ জমির পাটের জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করে এবং পাকা ঘর নির্মাণ করতে যায়। এ নিয়ে মীরা রাণী বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পাকা ঘর স্থাপনা স্থগিত করেন। স্থগিতের দু এক দিন পরে আবারও জলিল গং ঘর নির্মাণ করেন।
পরে ১৪৪ ধারা জারি করা হলে সেটাও অমান্য করে ঘর নির্মাণ করেন। তখন মীরা রাণী ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে ১৮৮ ধারা জারি করেন। বিজ্ঞ আদালত সকল প্রকার কাজ ২ মাস স্থগিত করে রাখেন। এ জমি নিয়ে বর্তমানে ঢাকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং ১৪১০/২০২২।
পরে বিজ্ঞ আদালত এ জমি নিয়ে প্রতিবেদন চেয়ে বোয়ালমারী সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট দায়ীত্ব দেন। এনিয়ে গত বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় ওই জমির প্রতিবেদন করতে সরেজমিনে পাঠানো হয়, শেখর ইউনিয়ন সহকারি ভূমি তৈয়বুর রহমান। ঘটনা স্থলে গিয়ে তৈয়বুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে যেটা পেয়েছি সেটা জানিয়ে দিব।