নেশার টাকার জন্য দোকানে চুরির দায়ে হাজার জনতার উপস্থিতিতে সালিশ- বৈঠকে জরিমানা করা হয়েছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বন্দৌরুহা গ্রামে। গত ৩০/৩১ অক্টোবর শাহিন বাজারের মিনহাজ ষ্টোরে রাতের আধারে দূর্ধষ চুরির ঘটনার অভিযোগের দায়ে শনিবার (১২নভেম্বর) শাহিন বাজারে হাজার জনতার উপস্থিতিতে সালিশ- বৈঠকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দূর্ধষ চুরির ঘটনার সাথে জড়িত একই গ্রামের চঞ্চল (৩৫) ও তার সহযোগী আ: রফিকের ছেলে, বন্দৌরুহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরি মো: ফারুক (৩২) নেশার টাকার জন্য চুরি করে বলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিশদার গন উভয় চোর ( চঞ্চল ও তার সহযোগী দপ্তরি ফারুক) কে ৫০ হাজার করে একলক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা ধার্য্য করলে বিবাদী পক্ষ উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য ৭ দিন সময় প্রার্থনা করে। তাদের আবেদনে সালিশদার ১০ দিন সময় দিয়ে পুনরায় ১০ দিন পর সালিশ বসার সময় নির্ধারণ করে সালিশ শেষ করেন।
সালিশ শেষ করার আগে বাজার কমিটি ও নাংলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল দাড়িয়ে বক্তব্য রাখেন- আমরা যে সালিশ করছি তার উভয় পক্ষ কে মানতে হবে। আর দপ্তরি ফারুক কে এমপি সাহেবকে বলে একটা সরকারি চাকুরি নিয়ে দিয়েছিলাম, সে য নেশাগ্রস্থ হয়ে এবং যেভাবে আমাদের ও তার বাবার মান সম্মান নষ্ট করছে তার বিরোদ্ধে বিভিন্ন মহলে সুপারিশ করে চাকুরি করার অযোগ্য বলে চাকুরি হতে অব্যাহতি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে মাফল সাহেবের মানতে রাজি নন দপ্তরি ফারুকের বাবা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো: আ: রফিক। আ: রফিক বলেন – আমার ছেলের চাকুরি ও মান সম্মানের ক্ষতি করার জন্য চক্রান্ত চলছে। আমি এই সালিশ মানিনা।আমার ছেলের চাকুরি মির্জা আজম দিয়েছেন, সেটা কারো ক্ষমতা নেই ক্ষতি করার। সাম্প্রতিক ফারুকের হিরোইন গ্রহনের ভিড়িও ভাইরালের বিষয়ের তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ছেলে মানুষ কারো পাল্লায় পড়ে সামান্য কিছু করছে না করছে ভিড়িও বানিয়ে ছেড়ে দিছে আমি ঐ ভিড়িও দেখতে চায়না। আর এ বিষয়ে কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে আমি বাধ্য নয়। আমিও দেখবো কে কি করতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মিনহাজ – জানান- আমার প্রায় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ছে এবং অনেক কষ্ট করে সালিশি বসার ব্যবস্থা করেছিলাম, সালিশির কোনকিছু বুঝলাম না ও ন্যায় বিচার পাওয়ার নমুনা দেখছিনা। ফারুকের খোজ নিতে প্রতিবেদকগন।
বন্দৌরুহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমানের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি ফারুকের বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা। চুরি করলে শাস্তি পাবে। তবে আমার দপ্তরি হিরোইন খোর ও চোর এটা ভাবলে আমি লজ্জায় পড়ে যায়।এ সালিশিতে উপস্থিত হাজার জনতার মাঝে নাংলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জাকির,উপজেলা কৃষকলীগের নেতা রন্জু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ প্রমুখ । ঘটনাটি নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।