শীতের লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
রূপগঞ্জ হালকা কুয়াশায় শীতের আমেজ বিরাজ করছে এর ফলে লেপ তৈরি করতে শুরু করেছে জনসাধারণ এবং নড়েচরে বসছেন কারিগররা। অনেকটা ব্যস্ততা বেড়েছে এ শিল্পে। রূপগঞ্জে রাতে ও সকালে শীত অনুভূত হচ্ছে। অনুভূতি কাজে লাগিয়ে যত্নে রাখা বিভিন্ন বাড়িতে বা পাড়ায় পাড়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছে লেপ-তোশক বের করছে গৃহিনীরা এর মাঝে মেরামত বা নতুন করে তৈরি করে নিচ্ছে।জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কারিগররা ধনুক দিয়ে তুলা ফেটিয়ে নিয়ে তৈরি করছেন লেপ-তোষক। কারিগরদের টুংটাং আওয়াজ আর বাতাসে উড়ে বেড়ানো তুলা জানিয়ে দিচ্ছে শীত এসে গেছে।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজারে কারিগররা লেপ তোশক বালিশ বিক্রি ও তৈরিতে কাটছে ব্যস্ত সময়। রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা বাজারের কারিগর আলিনুর (৫২) সাংবাদিকদের কে জানান, সপ্তাহ আগেও তেমন কাজকর্ম ছিল না এখন কেবল শীতের শুরু। আর কয়েকদিন পর রাত-দিন সমান তালেই কাজ করতে হবে আমাদের এ পেশায় ৩৫ বসর হয়ে গেলো তাঁর। বতর্মানে পুরনো লেপ ভেঙে নতুনভাবে তৈরির অডার্রই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সেই সঙ্গে গামের্ন্টসের তুলা দিয়ে তৈরি লেপও বিক্রি হচ্ছে। লেপ-তোশক তৈরির কারিগরেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পুরোদমেই।
সামনে বিয়ের মাসের পাশাপাশি শীত পড়তে শুরু করছে কারণে প্রতিদিন গরে ৩টি অর্ডার পাচ্ছি। জাদিম দুটি বালিশসহ দাম পরছে ২ হাজার টাকা। লেপ গার্মেন্টস তুলা দিয়ে তৈরি বালিশসহ ১১শ টাকা। বাঙ্গার তুলায় লেপ বালিশ ছাড়া ১৮ শত টাকা। প্রতিটি বালিশের মূল্য ১৩০ টাকা। কোলবালিশ এর দাম ১৮০ টাকা প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, গার্মেন্টস সাদা ১৫০ এবং কালার ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ রূপগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩০/৩৫ জন এ পেশার সাথে জরিত বলে জানান,আলিনুর। তিনি তাঁর নানার সাথে ছোটবেলা হতেই এ কাজ করেন, তেমন কিছুই করতে পারেননাই এ পেশা থেকে তবে তিন মেয়েকে শিক্ষিত করেছেন এটাই তার ইনভেস্ট বলে তিনি জানান।
তুলার দাম প্রতিবছর দু-এক টাকা বেড়ে যায় এবং মহাজনের নিকটে লেনদেন হওয়ায় তেমন একটা বুঝতে পারিনা। তবে চাওয়া মাত্র প্রয়োজনিয় মাল সরবরাহ করে মহাজনরা। জাদিম তৈরি হয় ব্লেজার তুলা। আমারা প্রতিটি লেপ পাঁচ কেজি তুলা দিয়ে বানিয়ে বিক্রি করছি। এর পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ-তোশক বানিয়ে রাখছি। সাধারণত অনেক ক্রেতা রেডিমেট ভাবে এসব ক্রয় করে থাকেন।’ তিনি আরও জানান, এবার তুলার দাম একটু বেশি হবার কারণে বড় লেপের দাম একটু বেড়েছে।