মিঠাপুকুরের যাদবপুর দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার গোপনে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন,নিয়োগ বানিজ্যের টাকা আত্মসাৎ, উন্নয়নের জন্য দেয়া বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, অনিয়মিত পাঠদান, নাশকতা মামলার আসামি শিক্ষক ,আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত দপ্তরি স্বপদে বহালসহ নানান অভিযোগ রয়েছে যাদবপুর দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার,মোঃ শাহ আলম মিয়ার বিরুদ্ধে। গোপনে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচিত করে নিজের মামাকে সভাপতি এবং কথিত দাতা এবং অভিভাবক সদস্য দিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
যাদবপুর দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার অবৈধ কমিটি গঠনের বিরোধিতা করে ফাইজুর রহমান,বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বরাবর, অভিযোগ দাখিল এবং পূনরায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য আবেদন করলে, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম, বৃহস্পতিবার ১৭ (নভেম্বর) সরেজমিনে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে তদন্ত করেন।
ফাইজুর রহমান, সাবেক সভাপতিঃ আব্দুল আজিজ,সাবেক অভিভাবক সদস্য আফছার আলী,রাজা মিয়া, অভিভাবকবৃন্দ,স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আসার অপেক্ষা করাকালীন মাদ্রাসাটির টয়লেটে জনৈক এক ব্যক্তি দেখতে পান, মাদ্রাসার ব্যবহৃত টয়লেটের ভিতরে টিন দিয়ে ২০২১/২০২২ শিক্ষা বর্ষেরসহ বিভিন্ন বই ঢেকে রাখা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্হানীয় সংবাদকর্মীদের দেখে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারঃ শাহআলম মিয়া, দুপুর ১ টার আগে, মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েন।
দুপুর প্রায় তিনটার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগকারী ফাইজুর রহমান,অভিভাবকবৃন্দ,দাতা সদস্য এবং স্হানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারনে ভারপ্রাপ্ত সুপারঃ শাহআলম মিয়া, ফোন বন্ধ করে সটকে পড়েছেন। এসময় উপস্থিত স্হানীয় লোকজন তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে টয়লেটের ভিতরে বইয়ের স্তুপ দেখে এবং মাদ্রাসার বিভিন্ন অব্যবস্হাপনা দেখে তদন্তকারী কর্মকর্তাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
টয়লেটের ভিতরে বই রাখা এবং ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহআলম এত বই কোথায় পেয়েছেন জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে নিজেই যাবো। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, মাদ্রাসাটিতে ছাত্র ছাত্রী নাই। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার, কৌশলে ছাত্র ছাত্রীদের নামে এসব বই তুলে বিক্রি করে থাকেন। ধর্মীয় বই টয়লেটের ঘরে রাখায় তারা শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহআলম মিয়াকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়নি।