পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি ও দারুল উলুম করাচির সভাপতি আল্লামা মুফতি মুহাম্মাদ রফি উসমানি ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) প্রদত্ত শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইসলামী শিক্ষা, তাহযিব-তামাদ্দুন, গবেষণার বিস্তার এবং আইনের উপর মরহুম আল্লামা মুফতি রফি উসমানির অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে।
পাকিস্তাসহ ভারতীয় উপমহাদেশব্যাপী ইসলামী শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণার দ্বার উন্মুক্তকরণ, বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতিতে ইলমে ফিকহ ও ইসলামী আইন চর্চাকে বিস্তৃত করায় তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ ইলমে ফিকহের উপর তাঁর রচিত বহু কিতাব বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, মাদ্রাসা ছাত্র ও ইসলামী গবেষকদের কাছে বেশ সামদৃত । তাঁর ইন্তিকালে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর মাঝে গভীর শোক বিরাজ করছে।
শোক বার্তায় আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এ পর্যন্ত গত দুই বছরে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সারির বহু শীর্ষ আলেম ও ইসলামী নেতাকে আমরা হারিয়েছি। এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে এতো অধিকসংখ্যক আলেম কখনোই ইন্তিকাল করেননি।
এতে করে উম্মাহর মুরুব্বী ও নেতৃত্বে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানের নানা সংকট ও প্রতিকূলতা উত্তরণ ও পথনির্দেশনা পেতে এসকল মুরুব্বী আলেমদের বড়োই প্রয়োজন ছিল। এই শূন্যতা সহজে পুরণ হবার নয়।
আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া মরহুম আল্লামা মুফতি রফি উসমানির মাগফিরাত কামনা করেন বলেন, মেহেরবান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় এই মুখলিস আলেমকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন; আমিন।
উল্লেখ্য, আল্লামা মুফতি রফি উসমানি (রহ.) ১৯৩৬ সালের ২১ জুলাই অবিভক্ত ভারতের দেওবন্দে ঐতিহ্যবাহী উসমানি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক পুরোধা মাওলানা আশরাফ আলি থানভি (রহ.) তাঁর নামকরণ করেন।
পবিত্র কোরআন হিফজ ও প্রাথমিক পড়াশোনা তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে করেন। ১৯৪৮ সালের ১ মে তার পিতা আল্লামা মুফতি শফি (রহ.)-এর সঙ্গে সপরিবারে পাকিস্তান হিজরত করেন।
ফিলিস্তিনের গ্র্যান্ড মুফতি আমিন আল-হুসাইনির কাছে হিফজেরে শেষ পাঠ শুনিয়েছেন। ১৯৫১ সালে দারুল উলুম করাচিতে দরসে নেজামিতে পড়াশোনা সম্পন্ন করে। এরপর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।