নওগাঁর সাপাহারে নিজ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। এঘটনায় সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী ও শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন বয়স্ক ভাতা উপকারভোগী মোছাঃ চেন বেগমের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী মোছাঃ চেন বেগম বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করে। উক্ত আবেদনে উপকারভোগীর মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে ৬ নং শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আনারুল ইসলাম তার নিজ মোবাইল নম্বর (০১৭৩৮২৪১০৪০) দিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে ওই গ্রাম পুলিশের কাছে টাকা আসছে কিনা খোঁজ নিতে থাকেন চেন বেগম। কিন্তু চতুর গ্রাম পুলিশ আনারুল ইসলাম কোন টাকা আসেনি বলে তাকে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করে চেন বেগমের ছেলে শরিফুল জানতে পারে তার মায়ের নামে গ্রাম পুলিশ আনারুলের মোবাইল নম্বর দিয়ে এপর্যন্ত ৫ হাজার টাকা তোলা হয়েছে।
শরিফুল অভিযোগে দাবী করেন উক্ত ৫ হাজার টাকা গ্রাম পুলিশ আনারুল ইসলাম আত্মসাৎ করে আসছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবী জানায় চেন বেগমের ছেলে শরিফুল ইসলাম।
শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আনারুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। যখন আমার নম্বরে টাকা আসে মেম্বার যাকে দিতে বলে তাকে টাকা দিয়ে আসি। মেম্বারের কথা মত এপর্যন্ত কুলসুম নামে একজনকে চার বারে ৩ হাজার টাকা তুলে দিয়েছি। এবারে দেড় হাজার টাকা তুলে চেন বেগমকে দিয়েছি। ৩ হাজার টাকার কোন হিসাব পাচ্ছিনা। ঘটনাটি চেয়ারম্যান, মেম্বার সবাই জানে।
শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদ পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি গতকাল দুপুরে লোক মুখে আমার শোনা। যখন আমি শুনলাম তখন ঘটনাটি আমার আমলে ঘটেছে কিনা জানলাম এটি আমার আমলে ঘটেনি। এবিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগও করেনি তাই তদন্তও করা হয়নি।
এবিষয়ে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানা যায়, একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন ভারতে অবস্থান করছেন।