বাগেরহাটের মোংলায় হরিণের দুইটি মাথাসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন জয়মনি বাজারের ব্রিজের উপর থেকে হরিণের মাথাসহ তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যান বলেও জানায় বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনের ব্রিজের উপর থেকে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। এ সময় মটরসাইকেলে থাকা একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায় আর বাকীদের হাতে থাকা একটি ব্যাগ পাশের খালে ছুড়ে ফেলেন।
ওই দুইজনকে আটক করার পর খাল থেকে ব্যাগটি তুলে তারমধ্যে দুইটি হরিণের মাথা পাওয়া যায়। আটক দুই ব্যক্তি হলো ওবায়দুল শেখ (২৫) ও বাবু শেখ (২২)। ওবায়দুল মটরসাইলকেল চালক।
ওবায়দুল ও বাবু আপন চাচাতো ভাই। আর পালিয়ে যাওয়া হৃদয় (২১) তাদের বন্ধু। এ তিনজনেরই বাড়ী উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামে। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা বনবিভাগের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তারা এক হাজার টাকা দিয়ে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার বটতলার রহিমন বেগমের দোকানের পাশ থেকে রহিমনের ছেলে রাজ্জাক ও সজিবের কাছ থেকে এ হরিণের মাথা কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
সজিব আন্ধারিয়া গ্রামে বিয়ে করার সুবাদে ওই এলাকার ওবায়দুল, বাবু ও হৃদয়ের সাথে সম্পর্ক হয় তার। সজিব বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদেরকে হরিণের মাথা দেয়ার কথা বললে তারা তা নিতে আসেন। বনবিভাগের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, রহিমন বেগমের ছেলে রাজ্জাক ও সজিব চিহ্নিত পেশাদার চোরা হরিণ শিকারী।
আটককৃতদের মাধ্যমে হরিণ শিকারের খবর পাওয়ার পর সন্ধ্যায়ই রহিমনের দোকান ও বাড়ী ঘিরে রেখেছেন বনবিভাগের সদস্যরা। অভিযান টের পেয়ে তারা সরে পড়ায় এবং দোকান ও বাড়ীতে কেউ না থাকায় তল্লাশী চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। রাতের অভিযান শেষ করে শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান বন কর্মকর্তা শহিদুল।
তিনি বলেন, যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত হরিণের মাথাসহ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।