শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের গেপালগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলা সমাপ্ত নওগাঁ এডুকেশন  ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত  নওগাঁয় প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তী; স্থাপন বন্ধের দাবী চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক এয়ারপোর্ট থানাপুলিশের অভিযানে অটো রিক্সা ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য আটক কেয়ার একাডেমির উদ্যোগে  ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান বোয়ালমারীতে মিফতাহুল জান্নাহ্ মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি ‘ওসির নির্দেশে’ ছেড়ে দেওয়ার হলো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবীতে মানববন্ধন ।

চট্টগ্রামের আলোচিত শিশু আয়াত হত্যা: আসামি আবির দুই দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২
46.6kভিজিটর

চট্টগ্রামে আলিনা ইসলাম আয়াত নামের পাঁচ বছরের এক শিশুকে হত্যা ও এরপর লাশ টুকরো করার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার আবির মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান সাংবাদিকদের বলেন, আসামি আবিরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত দুই দিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার নগরের ইপিজেড এলাকা থেকে আবিরকে আটক করে পিবিআই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, শিশু আয়াতকে অপহরণ করে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর মুঠোফোনের সিম কাজ না করায় শিশুটির পরিবারকে ফোন দিতে পারেননি। নিজে ধরা পড়ে যাবেন এ ভয়ে শিশুটিকে কেটে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেন। ভারতীয় টিভি সিরিজ ক্রাইম পেট্রোল ও সিআইডি দেখে আবির এ কাজ করার কথা স্বীকার করেন, আমাদেরকে জানান পিবিআই

আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম শিশু আয়াতের বাসায় ভাড়া থাকেন। তাঁর মা আলো বেগম পোশাক কারখানা শ্রমিক। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় আলো বেগম ইপিজেড এলাকার আকমল আলী রোড এলাকায় অন্য বাসায় থাকেন। মা ও বাবার দুটি বাসাতে যাতায়াত ছিল আবিরের।

শিশু আয়াতকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা আবির দুই মাস আগে করেন। আর মুক্তিপনের টাকা দিয়ে নিজের ও মায়ের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ছিল বেকার আবিরের।

গত ১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে বিকেলে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে শিশুটি মক্তবে যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইপিজেড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। গত শুক্রবার জিডিটি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় রূপান্তর করা হয়। এতে অজ্ঞাত পরিচয় তরুণকে আসামি করা হয়।

পেশায় মুদি দোকানদার আয়াতের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার পরিবার এখন এমন ব্যবস্থায় আছেন আপনাদেরকে বুঝাইতে পারবো না ‘জানাজা পড়ার জন্য মেয়ের লাশটাও পাইনি। মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’
আমার আদরের ছোট শিশু আয়াত কে টুকরো টুকরো করে কেটে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে কি ক্ষতি করছিল আমার মেয়েটা নিষ্ঠুর খুনিদের কাছে জানতে চান শিশুটির বাবা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x