ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষের ব্যবহার করা গাড়িটি ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসস্ট্যান্ডে রাখা দেখা গেছে। এই গাড়িটিতে করে বিভিন্ন স্থানে টাকা নিয়ে যাত্রী বহন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।
সরকারি গাড়ি ভাড়ায় চালিত যাত্রী বহনের কাজে ব্যবহার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই সংক্রান্ত একটি ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এতে দেখা গেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের লোগো সম্বলিত গাড়ীটি ( ঝালকাঠি: ১১-০০০২ ) বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে যাত্রী বহনের জন্য ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিল।
এসময় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের মুঠোফোনে এই দৃশ্য ধারন করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেরে দেয়।খোজ নিয়ে জানাগেছে, ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ আবুল বাশার আল মামুন বর্তমানে যশোরের কেশবপুরে কর্মরত আছেন ।
বর্তমানে ঝালকাঠি টিটিসির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মো. ইব্রাহী মিয়া। নিয়ম অনুযায়ে অধ্যক্ষ না থাকলে তার ব্যবহার করা গাড়ি অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু অধ্যক্ষের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটি নিয়ে টিটিসির সেইভ প্রকল্পের ড্রাইভার ইনেসটেক্টর মো. গিয়াস উদ্দিন অবৈধ ভাবে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেরান।
এমনকি টাকার বিনিময় যাত্রী বহন করার উদ্দেশ্যে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনে মাইক্রোবাসস্ট্যান্ডে সরকারি গাড়িটি নিয়ে অপেক্ষা করছেন।এব্যাপারে টিটিসির সেইভ প্রকল্পের ড্রইভার ইনেসটেক্টর মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ঝালকাঠি আসবেন তাই ডিসি অফিসের এনডিসি এই গাড়ীটি রিকোজিশন নিয়েছিলেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের বুধবার ৩০ নভেম্বর ও ০১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি সফর তাই। আজ তিনি ঝালকাঠিতে আছেন। আজ আপনি কোন কর্মকর্তাকে বহন করেছেন জানতে চাইলে মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, এনডিসি সাহেব আমাকে আসে পাশে থাকতে বলেছেন।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আসেপাশে নাকি প্রেসক্লাবের আসেপাশে থাকতে বলেছেন জানতে চাইলে মো. গিয়াস উদ্দিন ক্ষেপে গিয়ে বলেন এত কিছু আপনাকে বলতে আমি বাধ্য না।ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি অংছিং মারমা বলেন, ০১ ডিসেম্বর মন্ত্রী পরিষদ সচিব ঝালকাঠি আসবেন তাই ঝালকাঠি টিসিটির একটি গাড়ি দুই দিনের জন্য আমরা রিকোজিশন নিয়েছি ।
তবে ওই গাড়ীটি আজ আমরা কোন কাজে ব্যবহার করিনি। সরকারি গাড়ী ভাড়ায় চালিত স্ট্যান্ডে রেখে থাকলে সেটা গুরুতর অপরাধ।