চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন উত্তর মধ্যম হালিশহর, মুনির নগর,ভেন্ডা চৌধুরী পাড়া, নজু মুন্সির বাড়ী বসতঘর ২৬ নভেম্বর সকাল অনুমান ১১:৩০ ঘটিকার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণে উক্ত ভিটার মালিক মোঃ আয়ুব আলী শারীরিক প্রতিবন্ধী এর কন্যা দিলুয়ারা বেগম (২৭) জানায় যে, মাননীয় তৃতীয় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সদর চট্টগ্রাম সূত্রঃ অপর মোকদ্দমা নং ১৪০/২০১৫ইং ও ১৪১/২০১৫ইং আব্দুল নবী, পিতা- মৃত ঠান্ডা মিয়া,আলী মোর্তুজা গং বাদী হয়ে ১নং আয়ুব আলী, পিতা- মৃত আব্দুল হক, ২) আনোয়ারা বেগম, পিতা- মৃত আব্দুল হককে বিবাদী করে একটি মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে আমাদেরকে মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে হয়রানি করিতেছেন। এই মোকদ্দমাটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, ভিত্তীহীন, বানোয়াট, কল্পনপ্রসূত, মনগড়া, বিরক্তকর, স্ব-বিরোধী, অসৎ উদ্দেশ্যমূলক, ভুল, বেআইনিভাবে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়াছেন।
আমাদের ওয়ারিশসূত্রে পাওনা সম্পত্তি জোর জবরদস্তিভাবে এসকল মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়াছেন। উক্ত মামলার সূত্র ধরে ঘটনার দিন, তারিখ ও সময় অনধিকার প্রবেশ করে বসতঘর ভাংচুর আসবাবপত্র তছনছ ও লোকজনদেরকে মারধর করে উক্ত হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় ১) আয়ুব আলী (৭০) ২) আনোয়ারা বেগম (৫০), ৩) রেজিয়া বেগম (৬০), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ বিষয়ে দিলুয়ারা বেগম (২৭) বাদী হয়ে বন্দর থানায় একখানা এজাহার দায়ের করেন। এজাহার নামীয় আসামিগণ হলো ১) আলী মর্তুজা (৩২), পিতা- মৃত আব্দুল মোতালেব, ২) ফেরদৌস (৪০), পিতা- মোঃ আব্দুল নবি, উভয় সাং- উত্তর মধ্যম হালিশহর, মুনির নগর, ভেন্ডা চৌধূরী পাড়া, নজু মুন্সির বাড়ী, থানাঃ বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম, ৩) মোঃ সালাউদ্দিন (৩৭), পিতা- কামাল, ৪) কুম কুম আক্তার (২৬), স্বামী- মোঃ সালাউদ্দিন, উভয় সাং- দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, চৌধুরী পাড়া বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে, থানাঃ বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম, ৫) ছলিমা খাতুন (৪৮), স্বামী- আব্দুল মাবুদ, উত্তর মধ্যম হালিশহর মুনির নগর, চৌচলা মোড়, ইসলাম সওদাগর বাড়ী, থানাঃ বন্দর, জেলা- চট্টগ্রামসহ আরো অজ্ঞানামা ৭/৮ জন।
বিবরণে দিলুয়ারা বেগম জানান আমি ছাত্রী ও পাশাপাশি পেশায় একজন এনজিও কর্মী, বর্ণিত ১ ও ২নং আসামীদ্বয় আমাদের একই বাড়ীর লোক, ৩নং আসামি দুর সম্পর্কে ভগ্নি, ৪নং আসামি দুর সর্ম্পের ভগ্নির জামাই, ৫নং আসামি দুর সম্পর্কে চাচাতো বোন হয়। আমার পিতা আয়ুব আলী শারীরিক প্রতিবন্ধী (৭০) ও ফুফু আনোয়ারা বেগম (৫০) দ্বয় মানসিক প্রতিবন্ধী বর্ণিত আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবত আমার পিতার মৌরশি সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার অপচেষ্টা করে আসছে।
এরই ধারবাহিকতায় আমি প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৬/১১/২০২২ তারিখ সকালে কর্মস্থলে চলিয়া গেলে ঐ দিন সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় বর্ণিত আসামীগণ বেআইনীজনতাবদ্ধে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গাছের বাটাম ও লাঠি-সোঠা নিয়া আমাদের বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। ০১নং আসামী তার হাতে থাকা গাছের বাটাম দিয়া আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে ঘুষি মারে ও মাথায় বারী মারিলে আমার বাবা কাত হয়ে গেলে উক্ত বারী আমার বাবার বাম কোমড়ের পিছনের অংশে পড়ে গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ০১নং আসামী তার হাতে থাকা গাছের বাটাম দিয়া আমার বাবার বুকে ২২ আঘাত করলে সে গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ০২ ও ০৩নং আসামীদ্বয় তাদের হাতে থাকা লাঠি-সোঠা দিয়ে ৭/৮ জন মিলে আমাদের ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও টিনের বেড়া ভাঙ্গচুর করে। যার ক্ষতির পরিমাণ-নগদ ৩০,০০০/-টাকা এজাহারে উল্লেখ করেন ভাঙচুর করা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও এক লক্ষ টাকার বেশিও হতে পারে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। আমার বাবার জোর,শোর-চিৎকারে আমার মা ও মানসিক প্রতিবন্ধী ফুফু এগিয়ে এলে ০৪ ও ০৫নং আসামীদ্বয় আমার মা ও ফুফুকে চোখ-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মেরে নীলা-ফোলা জখম করে।
অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন আসামী তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়া আমার বাবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটাইয়া নীলা-ফোলা জখম করে। তাদের জোর শোর-চিৎকারে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে আসামীগণ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে ও তাদেরকেও শারীরিক আঘাত করে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। আমি উক্ত খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে এসে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আমার মা-বাবাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে চমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আমার বাবাকে সার্জারী বিভাগের ২৪নং ওয়ার্ডে বেড নং-২৯ এবং আমার মা’কে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগের ২৮নং ওয়ার্ডের বেড নং-৬৫/এ ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন। যার রেজিঃ নম্বর যথাক্রমে-২২৩২৮০/৬৭০ ও ২২৩২৭৮/৬৬২। এর আগে আরো অনেকবার এধরনের হামলা করে ও খারাপ আচারণ করাতে আমার বোন ইয়াছমিন আক্তার নারী ও শিশু দমন কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন। যার মামলা নং ৪৬০/১৫৮ পরিবর্তিতে ৬১৭/১৮ হয় যা বর্তমানে হাউকোর্টে চলমান রয়েছে। যে সমস্ত জমি নিয়ে কর্তৃপক্ষ জোর জবরদস্তিভাবে তাদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেই জমির পরিচয় আরএস খতিয়ান নং ৫০৪৯, দাগ নং- ৭৬৯০, ৭৭০০। বিএস খতিয়ান নং ১১৪৭, দাগ নং- ১৩২৮৯, ১৩২৮৮, ১৩২৯১, জমির পরিমাণ মোট সাড়ে পাঁচ গন্ডা। এবিষয়ে দেলোয়ারা বেগম বন্দর থানায় একটি জি.আর মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ১৭/২৬২, তারিখঃ ২৮/১১/২০২২।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আকামল হোসেন জানান মামলার ১নং আসামী আলী মর্তুজা (৩২) কে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামী গ্রেপ্তার করার জোর চেষ্টা চলছে অতি শীঘ্রই প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।