বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামসু মিয়ার গ্যারেজ এলাকার সিকদার পাড়ায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিক পুকুর ভরাট করার পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন গনমাধ্যমে সিকদারপাড়া এলাকাবাসীদের পক্ষে দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, ওই এলাকার ৫৬৫ নং হোল্ডিংধারী জনৈক নিরঞ্জন মন্ডলের নিজ বসবাসকৃত ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। ভবনটি ইতোমধ্যে প্রায় দইি ফুটেরও বেশী পিছনে ঝুঁকে পড়েছে। এব্যাপারে ভবন মালিকের কাছে এলাকাবাসী অভিযোগ করলে সে তার ফাটল ধরা ভবনে প্লাস্টার দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করে। এছাড়া তার ঝুঁকিপূর্ন দোতলা ভবনটি রক্ষার্থে সে ভবনের পিছনে পুকুরের কিছু অংশ ভরাট করে আরেকটি তিনতলা ভবন তৈরি করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এ ভবন নির্মানে সিটি কর্পোরেশনের আইন মানা হয়নি। এলাকাবাসীদের পক্ষে দেয়া অভিযোগে আরো জানা গেছে অভিযুক্ত নিরঞ্জন মন্ডলের জামাতা সিটি কর্পোরেশনের যান্ত্রিক শাখার প্রকৌশলী (বর্তমানে চাকুরীচ্যুত) থাকার সুবাদে অবৈধভাবে ভবন নির্মানে বাঁধা দিয়ে কোন কাজ হয়নি। এব্যাপাারে এলঅকাবাসীর পক্ষ থেকে গত বছর সিটি কর্পোরেশনের অভিযোগ বাক্সে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় ভবন সংলগ্ন পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় ভবনের সামনের অংশে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে আতংকিত এরকাবাসীদের কয়েকজন নিরঞ্জন মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি তাদের জানান, পিছনের পুকুর ভরাট করলে আর সমস্যা থাকবেনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভবন মালিক ইতোমধ্যে সীমানা তৈরি করে পুকুর ভরাটের জন্য পায়তারা শুরু করেছে। এলাকাবাসীর মতে, জলাধার আইন পরিপন্থী কাজের মাধ্যমে পুকুর ভরাট করে এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার মধ্যে ফেলে দেয়ার নতুন পায়তায়া শুরু হয়েছে। এব্যাপাারে এলাকাবাসী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ পরিবেশবাদীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ