ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের মুরাসাতা গ্রামে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অবরুদ্ধ মা ও ছোট ভাইকে উদ্ধার করেছে কলেজছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না।
শনিবার এ ঘটনা ঘটে। বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না বলেন, প্রাইভেট পড়া শেষ করে মুরাসাতা দাশের পোল নামক স্থানে আসলে বাজারের দোকানদারদের কাছে শুনি বাড়ির ভেতর আমার মা রোজিনা বেগম (৪০) এবং ছোট ভাই স্কুল ছাত্র আবু ফয়সাল মুবিন (১২) কে অবরুদ্ধ করে তাদের মারধর করতেছে আমার চাচাতো চাচা সোবাহান হাওলাদার ও তার লোকজন।
মুন্না আরো বলেন, ঘটনা শুনে আমি দ্রুত বাড়ির ভেতর ছুটে গিয়ে দেখি তারা আমাদের বসত ঘর ভাংচুর করতেছে। আমার মা ও ভাইয়ের মোবাইল ফোন আটকে রেখে তাদের মারধর করতেছে। আমি তখন ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে আমার মা ও ভাইকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আহত অবস্থায় রোজিনা বেগম ও তার ছেলে মুবিনকে উদ্ধার করারর পর রোজিনাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ও আবু ফয়সাল মুবিনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনা।
স্থানীয় অনেকে বলেন, শনিবার সকালে প্রবাসী ফারুক হোসেনের পাকা দালানের ছাদের একটি অংশ এবং আংশিক দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে সোবাহান হাওলাদার। ঘটনার সময় সোবাহানের সাথে তারই আত্মীয় স্বজন আমির হোসেন হাওলাদার, রহিম হোসেন, সোহেল হাওলাদার, সাদ্দাম হাওলাদার, শাহজাহান হাওলাদার, সোহান হাওলাদার, মিম আক্তার, রিনা বেগম, আমেনা বেগম এবং মাহামুদা বেগম ছিলেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে সোহেল হাওলাদার মুঠো ফোনে বলেন, আমাদের জায়গায় জোর করে প্রতিপক্ষরা বিল্ডিং করেছে তাই আমরা ভেঙ্গে ফেলেছি। তবে আমরা কাউকে অবরুদ্ধ করিনি এবং মারধর করেনি।
রোজিনা বেগম বলেন, 'আমার স্বামী ফারুক হোসেন গত দুই বছর পূর্বে নিজেদের জমিতে বিল্ডিং নির্মান করেছে। প্রায় দেড় বছর ধরে আমি সন্তানদেরকে নিয়ে এই ভবনে বসবাস করিতেছি। হঠাৎ করে আজ আমার চাচাতো দেবর ও ভাষুররা হামলা চালিয়ে দালানের দেয়াল ভেঙ্গে দেয় এবং ঘরে থাকা নগদ দুই লাখ ১০ হাজার টাকা ও এক ভড়ি ওজনের সোনার জিনিস নিয়ে যায় তারা।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, '৯৯৯ থেকে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ