রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্বরত আনসার বাহিনীর (ভিডিপি) দলনেতা- দলনেত্রী নিজ কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থেকেও উপজেলা ভিডিবি কর্মকর্তার জোগসাজেসে প্রতি মাসে তাদের সম্মানি ভাতা উত্তোলন করছেন। কিছুদিন পূর্বে উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের দায়িত্বরত একজন দলনেত্রীর নামে এ বিষয়ে বেতগাড়ি ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ইউএনও অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীমতি ভাবনা রানী (দলনেত্রী) তার শুশুর বাড়ি মিঠাপুকুরে তিনি ২বছর যাবত সেখানে অবস্থান করছে। তার বিবাহিত জীবন দুই বৎসর তিনি তাহার স্বামী পটুয়াখালী জেলায় সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োজিত থাকায় সেখানেও অবস্থান করেন ।
মাঝে মধ্যে আত্বীয় সেজে বাবার বাসায় এসে উপজেলা আনসার (ভিডিবি) অফিসের টিআই রুহুল এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ছয় মাসের স্বাক্ষর একদিনে করে থাকেন। এছাড়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি বিবাহসূত্রে ২’বছর অন্যস্থানে অবস্থান করার কারণে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সাধারন জনগন যথাসময়ে ইউনিয়ন দলনেত্রীকে পায়না।
তারা সরকারের বিভিন্ন কাজ যেমন ভোট বা পূজার দায়িত্ব পালনে অংশগ্রহন করতে ইচ্ছুক হলেও নিজেদের উৎসর্গ করতে পারেনা। বিভিন্ন সময়ে কখন কিভাবে লোক নেয়া হয় তারা যথাসময়ে কিছুই জানতে পারেন না।
উল্লেখ্য দলনেতা-দলনেত্রী নিয়োগে নিজ এলাকার বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার থাকলেও উপজেলা আনসার ভিডিবি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতায় নিয়োগকৃত সদস্যরা প্রায় সময় নিজ এলাকার বাহিরে অবস্থান করেন।
তাদের প্রতিমাসে একবার উপজেলার মাসিক মিটিং এ উপস্থিত থেকে সম্মানী ভাতা উত্তোলনের কথা থাকলেও অফিসের টিআই এর মাধ্যমে আর্থিক ও অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ভাতার টাকা তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে বেতগাড়ী ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা যায় দলনেতা-দলনেত্রী নিজ এলাকায় অনুপস্থিত। তারা নিজ এলাকায় না থাকায় সাধারণ মানুষ আনসার ভিডিবি অফিস কতৃক খবরগুলো ঠিকসময়ে পাচ্ছে না। অনেকেই জানান অফিসের খবরগুলো পেতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ভাবনা রানী তার অভিযোগের বিষয়ে বলেন, (অফিসার) আনসার ভিডিবি কর্মকর্তা সবকিছু জানেন। আমি তাদের সাথে কথা বলেই ছুটি নিয়ে এখানে থেকে অফিসের কাজ করি। আপনি শুধু আমাকে বলতেছেন কেন, উপজেলার সকল দলনেতা ও দলনেত্রীর খোঁজ নিয়ে দেখেন নিজ কর্মস্থলে কতজন আছে ?
টি আই রুহুল আমিন বলেন, আমার সাথে ভাবনার কোন অর্থনৈতিক লেনদেন নেই। তিনি মাসে একবার এসে সাক্ষর করে যান।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা রেজকেকুজ্জামান ভাবনা রানীর বিষটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভাবনা রানী’র নিয়োগ বিয়ে’র আগে হয়েছে। এলাকায় না থাকলেও সে প্রতিমাসে এসে মিটিং করে। তার কাছে মিটিং এর হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে, তিনি মিটিং এর হাজিরা খাতা দেখাতে অস্বীকার করেন।