বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনালোচিত অধ্যায়: বীরঙ্গনা প্রসঙ্গ শীর্ষক সেমিনার।
মোঃ মনিরুল ইসলাম লিমন, বিশেষ প্রতিনিধি:
আজ, ১২ ডিসেম্বর ২০২২, রোজ সোমবার, সকাল ১১টার সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে ও অপরাজেয় বাংলা ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের অনালোচিত অধ্যায়: বীরঙ্গনা প্রসঙ্গ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ ও অপরাজেয় বাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফমেন্স স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক রহমত আলী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা জনাব কানন গোমেজ। স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী। উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব সুরাইয়া আক্তার। উক্ত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক কবির হাসান।
এসময় সম্মানিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা জনাব কানন গোমেজকে শাড়ি ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা এই তিনটি জায়গায় কোন আপোষ নেই। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা, তার আহবানে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। অতএব মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনের একটি অন্যতম জলন্ত ইতিহাস, আর সেই মুক্তিযুদ্ধের জন্য আমরা আজ স্বাধীনতা লাভ করেছি। তাই এই তিনটি জায়গায় জীবনের কোন সময় কোন কারনে আপোষ করা যাবে না।
বিশেষ অতিথি মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আজ দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। একটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, অন্যটি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। উক্ত বিপক্ষের শক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাটুরিয়া প্রতিটি এলাকায় এই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানান।
সম্মানিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা জনাব কানন গোমেজ তার বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি পাঁকা বারান্দা যুক্ত ঘর দাবি করেছেন, তিনি বলেন সেখানে তার মৃত্যুর পরে যারা তার জানাজায় অংশগ্রহণ করবে তারা বসবে।
এছাড়া তিনি সকল বীরঙ্গনারা যাতে তাদের যথাযোগ্য সম্মাননা ও মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পায় তার জোর দাবি জানান।