শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস, মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা
মোঃ ছামিউল ইসলাম,জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজনে বিকেল ৪টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-৭১’র মেলান্দহে প্রথম পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে গেরিলা যোদ্ধার শপথ গ্রহণকারি জাহাঙ্গীর আলম বাবু।
ইউনিটির সভাপতি-ইত্তেফাক সংবাদদাতা শাহ্ জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সংবাদ সারাবেলার প্রবিন সাংবাদিক তালুকদার আলমগীর আহম্মেদ শাহজাহান, ইত্তেফাকের ইসলামপুর সংবাদদাতা শফিকুল ইসলাম ফারুক, ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম এবং দৈনিক অধিকার পত্রিকার প্রতিনিধি, বঙ্গমাতা শেখফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষার্থী এসএম আল ফাহাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন-ইউনিটির যুগ্ন সম্পাদক মাসুদ রানা,সাংগঠনিক সম্পাদক, বিজনেছন প্রত্রিকার মোস্তাসিম বিল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মেলান্দহ সংবাদ পত্রিকা প্রতিনিধি, দেশ যুগান্তর, জেলা প্রতিনিধি, মোঃ ছামিউল ইসলাম, ভোরের কাগজ নাহিদ হাসান, সাংবাদিক সোহাগ রানা, সাজ্জাদ হুসেন শাহিন, আজকের পত্রিকা নয়ন, আমার সংবাদ ইমরান মাহমুদ,প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন – শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়, আমরা গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এবং একই সঙ্গে সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রত্যেক শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের স্বজনদের প্রতি, যাঁরা দীর্ঘ বছর ধরে বয়ে চলেছে আপনজনকে হারানোর বেদনা ও কষ্ট।পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের রাজাকারদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের। এসব হত্যার কারণটি স্পষ্ট, পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করে দিতে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই বাহিনীগুলোর সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উঠিয়ে এনেছেন; তুলে দিয়েছেন পাকবাহিনীর হাতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেরাই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বাঙালি জাতির জীবনে একটি অত্যন্ত শোকাবহ দিন। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা জাতির যে কোন বিপর্যয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন।
ইতিহাসের এই বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের কুলাঙ্গারদের প্রতি ঘৃণা জানায় কোটি কোটি দেশপ্রেমিক বাঙালি। দেশের মেধাবী ও শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা শোকাবহ দিন।
উল্লেখ্য, দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনও পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করে।