এসময় সভাপতির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেন, মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরব উজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এবং ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, বেরোবি মহান বিজয় দিবস-২০২২ পালন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায়, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম বক্তব্য রাখেন।
এর আগে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনে সকাল ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে বিজয় র্যালি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদের নেতৃত্বে পার্কের মোড় হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ।
এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, সাংবাদিক সমিতি, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ।
মহান বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন আলোকসজ্জ্বা করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় খেলার মাঠে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোর আয়োজন করা হয়।