পূর্বশত্রুতার জের ধরে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আকতার হোসেন হামলার শিকার হয়েছেন। ইউপি সদস্যকে হামলার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মো. চুন্নু সরদার ও তার লোকজনে বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বুধবার ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আকতার মেম্বর তার বাড়ির সামনে দোকানে বসেছিলেন। এ সময় চুন্নু সরদার ও তার ২০-২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় দোকান ঘিরে ফেলে। তখন দূর্বৃত্তরা দোকানের ভেতরে ঢুকে হাতুড়ি, লাঠিশোটা দিয়ে আঘাত করে হাত পা ভেঙে ফেলে এবং, রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মেম্বরকে গুরুত্বর আহত করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে প্রেরন করা হয়। এ সময় দোকানের কাচের সোকেচ ভাঙচুর করে মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
মেম্বরের ভাই মো. জাহাঙ্গীর বলেন, রাজনৈতিক ভাবে আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থন আমার ভাই আকতার মেম্বর দীর্ঘদিন যাবত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তবে আমার ভাইয়ের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তারা সকলেই বিএনপি জামাতের সমর্থক। অহেতু কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে আমার ভাইকে তারা মেরে ফেলার স্বরযন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ জন্যই আমাদের ওপর এমন হামলা করে আসছে। আবারও যে কোন সময় আমাদের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এক প্রকার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
চুন্নু সরদারের কাছে মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, আমি বুধবার ঢাকায় ছিলাম। আমার নাম কে বলেছে এমন সাহস কার বাপের আছে। আমার নাম বললে আমি তাকে লাথি মেরে ফুট বল বানিয়ে দিব! এই বলে ফোনের কল কেটে দেন।
এ নিয়ে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়েছে। এখনও কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করননি। অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।