শিরোনাম:
বোয়ালখালীতে মদ বিক্রেতা আটক বোয়ালখালীতে তেল চুরি ৩ জন আটক ইসলামিক ফাউন্ডেশন’র বোর্ড অফ গভর্নর নির্বাচিত হওয়ায় অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীকে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেসীন এর পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেন। বোয়ালখালীতে পলিথিন মজুদ রাখায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনা সপ্তাহ উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‌্যালি ও আলোচনা সভা বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত বিএনপি অফিস ভাঙচুর;আ’লীগের ৩৩নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। চট্টগ্রামকে যানজট মুক্ত নগরী উপহার দিতে চাই:- মেয়রের আলফাডাঙ্গায় টিআর,কাবিখা,কাবিটা প্রকল্পের দশ লক্ষ টাকা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউএনও’র ভেনিটিব্যাগে ইসলামি ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অফ গভর্নরের সদস্য হলেন চরমোনাই কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী

নওগাঁয় চরম শীতে মিষ্টি সুবাস ছড়াচ্ছে খেজুর রস।

সুবীর দাস,স্টাফ রিপোর্টার: নওগা প্রতিনিদি,
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩
59.4kভিজিটর

স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশের ন্যায় নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে ঠান্ডায় যখন স্থবির জনজীবন ঠিক সেই সময় বাতাসে মিষ্টি সুবাস ছড়াচ্ছে খেজুর রস। শীতে শহর ও গ্রামে বাড়ীতে বসে গৃহবধুরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পিঠা-পুলি বানানোর উৎসবে।

আর পিঠা-পুলির সাথে খেজুরের রস থাকলে তো কথাই নেই! যার ফলে কনকনে শীতের সাথে বেড়েছে খেজুর রসের কদর। শীতের আগমন থেকে এই পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে সুমিষ্ট রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার গাছীরা। সেই রস কিনে কেউবা রস দিয়ে আবার কেউ রস জ্বাল দিয়ে সুমিষ্ট গুড় বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে প্রায় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা যায়। এসব রস থেকে তৈরি হয় সুমিষ্ট ও সুস্বাদু গুড় যা পুরনো দিনের ঐতিহ্য বহন করে। গ্রাম্যাঞ্চলে কাকডাকা ভোরে খেজুরের রস দিয়ে মুড়ি খাওয়া যেন ঐতিহ্যের একটি অংশ। এছাড়াও সন্ধ্যাকালীন সময়ে জ্বাল দিয়ে গড়ম করা খেজুর রস দিয়ে না ধরণের পিঠা খাওয়া যেন অমৃততুল্য।

নওগাঁর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে গেলেই চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন খেজুর গাছ। সারা বছর এসব গাছের পরিচর্যা না করলেও এসবের কদর বাড়ে শীত মৌসুমে। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে বেশি দেখা যায় খেজুর গাছ। বর্তমানে নওগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খেজুর রস সংগ্রহের বেশ ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে গাছীদের মাঝে।

খেজুর গাছের মালিকরা অনেক সময় নিজেদের গাছে নিজেরাই রস সংগ্রহ করে থাকে। তবে বেশিরভাগ লোক ভালো গাছীদের চুক্তি দিয়ে খেজুর রস সংগ্রহ করায়। অনেক গাছী আছেন যারা মালিকদের কাছে সারাবছরের জন্য গাছ লিজ নিয়ে থাকেন। এসব লিজ হয় নির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে। তবে বেশির ভাগ আদি ভাগে চুক্তি সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে।

খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছী হারু বলেন “ আমি প্রতি বছর রাস্তার সব গাছ আদিতে লিজ নিয়ে থাকি। সংগৃহীত খেজুর রসের আমার ভাগেরটা জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরী করে বাজারে বিক্রি করি। খেজুর গুড় সুমিষ্ট ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি। প্রতিকেজি খেজুরগুড় বিক্রি হয় ১৬০-১৮০ টাকা পর্যন্ত।” এছাড়াও খেজুর রস ফেরি করে বিক্রি হয় গ্রাম-গঞ্জ ও শহরে। যা প্রতি লিটার ৩০-৫০টাকা পর্যন্ত।

স্থানীয়রা বলছেন, খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিদের মাঝে এই শীত মৌসুমে ফিরে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। তারা রস সংগ্রহ করে লালি গুড়,পাটালী গুড় তৈরী করে। আর শীত মৌসুমে খেজুর গুড়ের পিঠা বানিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ী পাঠাতেও পছন্দ করে এলাকার মানুষ। খেজুর রস যেমন আকৃষ্ট করে মানুষকে তেমনি খেজুর রস হতে তৈরী খেজুর গুড়ের মিষ্টি গন্ধও আকৃষ্ট করে। যার ফলে গ্রামীণ এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে খেজুর গাছ নিধন বন্ধ ও নতুন গাছ লাগাতে উৎসাহ প্রদান করছেন এলাকার সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x