নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এ বছর বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজার ১৬৫ একর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। ভাল ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
বিভিন্ন জাতে বারি ও বীনা সরিষার আবাদ হয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব, মিঠাব, কান্দাপাড়া, মাসাব, তেতলাব, পশ্চিম গাও, মাঝিপাড়া, পাচাইখাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ।
যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন কুয়াশায় ঢাকা শীতের চাদরে দিগন্ত জোড়া সরিষার হলুদ মাঠ। মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট মৌমাছিরাও ব্যস্ত মধু সংগ্রহ করতে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটাব গ্রাম এলাকার বাসিন্দা মাশিদুল মিয়া জানান, তিনি ৫৬ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে প্রচুর। হাটাব এলাকার চাষি জলিল মিয়া ও বলেন, ১ বিঘা জমিতে এবার সরিষা আবাদ করেছি।
উপজেলার হাটাব পিঠাগুরি এলাকার সরিষা চাষি সামছুল মিয়া জানান ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির বালু ভরাটে কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারনে কৃষি চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর বলেন, এ উপজেলার মাটি সরিষা আবাদের জন্য অনেক উপযোগী। উপজেলায় গত বছরের তুলনায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বারি সরিষা- ৯, ১১, ১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ জাতের ৩০টি প্রদর্শনী ও ৫০০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ বছর তারা সরিষা চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষক খুসি।