এবারের বানিজ্য মেলার বিভিন্ন সাইড ঘুরে দেখা গেলো মেলাকে সাাফল্যমন্ডিত করতে এবং ২০২২ সালের তুলনায় স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে সেচ্চায় সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই স্থানীয় কিছু হাসপাতাল ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ডিকেএমসি হাসপাতালের দক্ষ একদল স্বেচ্ছাসেবী কর্মী বাহিনী।
ডিকেএমসি হালপাতাল লিঃ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা এম এ কাসেম সাহেবের তত্তাবধানে সার্বক্ষনিক রোগীদের সেবা দেয়াসহ বিনা মূল্যে তাদের ঔষধ বিতরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা, ব্লাড প্রেসার মাপা, ডায়াবেটিস পরিক্ষাসহ মেলায় আগত যে কোন লোক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের তাৎক্ষনিক সেবা দানের উদ্যেশ্যেই তাদের এই আয়োজন।
ডিকেএমসি হাসপাতালের ব্যাপারে কথা হয় হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, আমরা ডিকেএমসি হাসপাতালের মাধ্যমে রূপগঞ্জে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পেন করে বেশ সুনাম অর্জন করেছি। তাই এবার বানিজ্য মেলায় মানুষের সেবা দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেবার মান বাড়াতে ও হাসপাতালকে পরিচিতি করতেই আমাদের এই আয়োজন।
মেলায় আরেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাক তরুন শিক্ষার্থীদের মাধ্যেমে পরিচালিত হচ্ছে।
পুরান ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা সোলেমান কবির বলেন, আমি বানিজ্য মেলা ১ম দিকে ঘুরতে এসে হঠাৎ খুব অসুস্থ বোধ করি পরে ডিকেএমসি হাসপাতালের স্টলে গিয়ে ডায়াবেটিস পরিক্ষা করে দেখলাম আমার সুগারের পরিমান বেড়ে গেছে। ডিকেএমসি হাসপাতালের সেবাদান কারীরা আমাকে ঔষধ সেবন করিয়ে ২০ মিনিট বিশ্রামে থাকতে বলে আমার শারিরিক অবস্থার উন্নতি হলে আমি বাসায় চলে যাই। ধন্যবাদ ডিকেএমসি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে।
এদিকে ২০২২ সালের বানিজ্য মেলায় ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুনাম অর্জন করা বিআরবি হাসপাতাল ও এবারের মেলায় সেবা দেয়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ইপিবির সচিব ও বানিজ্য মেলার পরিচালক ইখতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, এবারের মেলায় স্টল ও প্যাভিলিয়ন নিয়ে মোট ৩৩১ টি স্টল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি সেচ্ছাসেবী ও সেবা ধর্মী সংগঠনও আছে। তাদের মধ্যে ডিকেএমসি, মেনেজমেন্ট নেট এন্ড বাংলাদেশ থেলাসেমিয়া সমিতি হাসপাতাল ও বিআরবি হাসপাতাল অন্যতম।
তারিখ–২০/০১/২০২৩ ইং