আলফাডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইমারি স্কুলের বেঞ্জ ও বই বিক্রির অভিযোগ
আলফাডাঙ্গায় শিক্ষা অফিস ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বেঞ্চ ও বই খাতা বিক্রির অভিযোগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রাইমারি স্কুলের লোহার বেঞ্চ ও বই খাতা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই উপজেলায় গোপালপুর ইউনিয়নে ৯ নং কুচিয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন প্রাইমারি শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বেশ কিছু লোহার বেঞ্চ ও বই খাতা বিক্রি করেছে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারি উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের শুকুর মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে অটোভ্যান বোঝাই করা লোহার বেঞ্চ ও এক অটোভ্যান বইখাতা বিক্রি করেছে বলে একাধিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়। সরজমিনে গিয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে সত্যতা মিলেছে।
বোঝাই করা লোহার বেঞ্চ বহনকারী অটোভ্যান চালক নাম প্রকাশের অনিছুক পার্শ্ববর্তী উপজেলার ছাত্রকান্দা গ্রামে ব্রিজ সংলগ্নে মেইন রাস্তায় আনুমানিক সময় নয়টা ১০ থেকে নয়টা ২০ মিনিটের মধ্যে সাংবাদিকদের সাথে দেখা হলে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,স্কুলের বেঞ্চ মেরামতের জন্য সহস্রাইল বাজারে রফিকুল ইসলামের দোকানে নেওয়া হচ্ছে। স্লিপের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন পিছনে আরো ভ্যান আছে তাদের কাছে থাকতে পারে।আমার কাছে নেই।আমরা ভ্যান চালক এতকিছু বুঝি না।
ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কয়েক বছরের পুরাতন কিছু খাতা বিক্রি করা হয়েছে।তবে এর মধ্যে দুই একটা সরকারি বই থাকতে পারে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন দৈনিক বাঙালি সময়কে বলেন, ডিপিও স্যার স্কুল ভিজিট করবে বলে শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে বলেছে। তার ধারাবাহিকতায় কয়েক বছরের এক সেট করে সরকারি বই ও ছাত্রছাত্রী মূল্যায়ন পরীক্ষার খাতা এবং বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বই বিক্রি করেছি। সামান্য কিছু টাকা হয়েছে, তা দিয়ে ছাত্রছাত্রীর মাঝে পাপড় কিনে খেতে দিয়েছি।স্কুলের ছাত্র ছাত্রী যে কয়জন সেই কয় সেট বই অফিস থেকে আনা হয়। তবে বই বিক্রির প্রশ্ন তো ওঠে-ই না।
প্রধান শিক্ষকের ভাষ্য অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের পাপড় কিনে খেতে দিয়েছে,তার উত্তরে ঐ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে ছাত্রছাত্রীরা অস্বীকার করেন।
এদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ ইসমাইল আলী বলেন,গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ডিপিও স্যার আসবে এজন্য ছেঁড়া ফাটা কাগজ ভ্যানআলাকে দিয়ে দিছি। মালামাল বিক্রি কোন রেজুলেশন হয়নি এবং শিক্ষা অফিস থেকে কোন আদেশ পত্র আসেনি।যদি পাপ করে তার ফল ভোগ করতে হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রীতিকনা
বলেন,আপনাদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়েছি।প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইলে কথা বলেছি অস্বীকার করেন।অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।