মেহেরপুরে পৃথক অভিযানে ১২ বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বামন্দী ও মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় ৯টি ককটেল বোমা,দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা উদ্ধার করা হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বামন্দী মাদ্রাসা এলাকায় সরকার বিরোধী বৈঠক চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বামন্দী নিশিপুর গ্রামের শাওন, মহিবুল ইসলাম পলাশ, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ আলম,আশরাফুল ইসলাম,গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কামরুজ্জামান, বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হক,কড়ুইগাছী গ্রামের মনিরুজ্জামান,সাহারবাটি গ্রামের আমানুরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা সকলেই বিএনপির নেতাকর্মী। এ ঘটনায় বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১২ তাং ১০.০২.২৩ ইং।
এদিকে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, গৌরিনগর গ্রামের সড়কের পাশে নাশকতার চেষ্টাকালে বিদ্যাধরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, জয়পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, শিবপুর গ্রামের শহিদুল হাসান রাহুল ও মোনাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আজিম উদ্দিন গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এঘটনায় মুজিবনগর থানার এসআই সেকেন্দার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অঅরো ২০/২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ০৪ তাং ১০.০২.২৩ ইং।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করে বলেন,বিএনপির কর্মসূচী বানচাল করার জন্য সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে ককটেল বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের অসত্য তথ্য প্রচার করছে। হয়রানী করে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা বলেও জানান তিনি।