ফরিদপুরের সালথায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো: এনায়েত হোসেন ওরফে চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে নানা ধরনের হয়রানি ও ষড়যন্ত্র করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এনায়েত হোসেন চাঁন মিয়া নিজেই।
এনায়েত হোসেন চাঁন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার এলাকার ৪ জন ব্যক্তি আমার কাছে কয়েক বার চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে, তারা আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে দলিল নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক বরাবর আমার বিরুদ্ধে মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এর পরে তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করিয়েছে। আমি এ সকল নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, নিউজে লেখা হয়েছে এনায়েত হোসেন চান মিয়া, পিতা নাম মোঃ দলিল উদ্দিন মাতুব্বর। ২০২০ সালের একটি প্রত্যায়নপত্রে দেখা যায়, জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে বার্ষিক পরীক্ষায় এনায়েত হোসেন চান মিয়া অংশগ্রহণ করে অষ্টম শ্রেণী পাশ করেছেন। কিন্তু মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষার সনদপত্রে দেখা যায়, তার নাম মো. এনায়েত হোসেন, পিতার নাম দলিল উদ্দিন এবং তিনি ভাবুকদিয়া ঠেনঠনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৫ সালে দাখিল পাশ করেছেন। এখানে আমার কোন সার্টিফিকেট টি জাল সেটা উল্লেখ করা হয়নি। মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা এই যে আমি ১৯৯৫ সালে সালথা উপজেলার ভাবুকদিয়া ঠেনঠনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করি।
সেই সাটিফিকেট দিয়েই আমি দলিল লেখক হিসেবে লাইলেন্স করেছি। এই কুচক্রী মহল আমাকে কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিকভাবে হেয় করতেই এমনটা করেছে তারা। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় সালথায় দলিল লেখক সমিতি’র সভাপতি চান মিয়ার জাল সনদে লাইসেন্স করার অভিযোগে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।
নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে সালথা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলার কাঠিয়ার গট্টি গ্রামের মো. দলিল উদ্দিন মাতুব্বরের পুত্র এনায়েত হোসেন চান মিয়ার বিরুদ্ধে জাল সনদে লাইসেন্স নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিয়েছে এই মর্মে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় ওলিদ ফকির, সুজন মাতুব্বর, ফরহাদ শিকদার ও মঙ্গল শেখ। এ অভিযোগ এনে তারা নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক বরাবর আবেদন করেছেন।
অভিযোগে তারা বলেন, এই চান মিয়া ভূয়া ও জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নেন। যার লাইসেন্স নং-১৪/ ২০০৭। বর্তমানে লাইসেন্সটি সালথা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে সরেজমিনে তদন্তের জন্য ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সাবরেজিষ্টার ফয়সাল হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ফয়সাল হোসেন সরেজমিনে সালথা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পরিদর্শন করেন।