চট্টগ্রাম ৮ আসন এলাকাটি মনে হয় বাংলাদেশের একটি পিছিয়ে পড়া এলাকা সব চেয়ে উন্নয়ন বিহীন , যেহেতু বোয়ালখালী কে আমরা উপ- শহরের তালিকায় নিয়ে যেতে পারিনি,শুধু মাত্র একটি সেতুর অভাবে, একটি উপ শহর যে পরিমাণ উন্নয়ন হওয়ার কথা তার চিটে ফুটো ও পড়েনি বোয়ালখালীতে।
যেখানে উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ কখনো চোখে পড়েনি। জরাজীর্ণ কালুঘাট সেতু আর এলাকার জরাজীর্ণতা কোনোটি স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে মানানসই নয়। কঠোর পরিশ্রম ও আমার মেধা দিয়ে এবং পৃথিবীর ৪০টির বেশি দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি চট্টগ্রাম ৮ আসনের সার্বিক চেহারা পাল্টে দিতে সক্ষম হব।
১১ মার্চ শনিবার নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মনোয়ার বলেন, দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে কিন্তু নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ হলো না কেন তা একটি বড় প্রশ্ন, অথচ ১৯৯০ সালে আমি বোয়ালখালীতে উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি করে সেতুটি নতুন ভাবে আধুনিক মানের রেল-সড়ক সেতু করার দাবি তুলেছিলাম, পরবর্তীতে বর্তমান সরকারের আমলে এই দাবিটি পুনরায় উচ্চারিত হয়।
তিনি আরও বলেন, গত বছর নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকার অনেক প্রকল্প অগ্রাধিকার থেকে বাদ দিতে শুরু করলে আমি নাগরিক ফোরামের ব্যানারে গণ-অনশন আহ্বান করে নতুন কালুরঘাট সেতুকে সেই বাতিলের অন্তর্ভুক্তি থেকে রক্ষা করি এবং গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জনসভায় এই ইস্যুটি প্রাধান্য পায়, এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কম সময়ের জন্য উপনির্বাচনে এলাকার সংসদ সদস্য হতে পারলে আমি এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খালেদ, সিনিয়র সাংবাদিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, মঞ্জুরুল আলম, মুস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, লেখক শওকত বাঙালি, নাগরিক ফোরামের মীর্জা ইমতিয়াজ শাওন প্রমুখ।