নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে কৃষকরা নিজের জমি দিয়ে গঠন করেছে জমিদার সিটি নামে একটি হাউজিং প্রকল্প। উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়ন চারিতালুক এলাকায় কৃষকরা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে নিজের জমি রক্ষা করতে এ উদ্যেগ নেয় তারা।
গতকাল চারিতালুক এলাকায় প্রায় শতাধিক কৃষক নিজের ৪’শ বিঘা জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে উদ্বোধন করে জমিদার সিটি নামের হাউজিং প্রকল্পটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার কৃষক ও স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এলাকার কৃষকরা জানায়, চারিতালুক এলাকায় বেশ কয়েকটি হাউজিং কোম্পানী রয়েছে।
তারা রাতের আধাঁরে আমাদের কৃষি জমি ভরাট করে জোর পূর্বক দখলে নিচ্ছে। তারা ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করে আমাদের জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের এ আগ্রাসী কর্মকান্ড থেকে নিজেদের জমি রক্ষা করতে আমরা এলাকার কৃষকরা একত্রিত হয়ে জমিদার সিটি গঠন করেছি।
চারিতালুক এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক প্রথমে ৪’শ বিঘা জমি দিয়ে জমিদার সিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, আমাদের সম্পদ রক্ষা করতে আমরা নিজেরাই হাউজিং প্রকল্প গঠন করেছি। স্থাণীয় জমিদার ফরহাদ হোসেন ভূইয়া খোকন বলেন, এখানে আমার ১’শ ৫০ বিঘা জমি রয়েছে।
বিভিন্ন কোম্পানী এসে আমার জমি জোর পূর্বক ভরাট করে দখলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকার সকল জমির মালিকগন মিলে আমরা জমিদার সিটি গঠন করেছি। কৃষক আলী আকবর, ফরিদ আহমেদ সোবহান, মোহাম্মদ আলী, আরজু মিয়া ও মোঃ ইব্রহিম মিয়া জানান, আমরা নিজেদেও জমি রক্ষার জন্য জমিদার সিটি গঠন করেছি।
এ জমিদার সিটি প্রকল্পে আমরা সবাই সদস্য। আমরা সবাই মিলেই একটি পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলবো। এ বিষয়ে জমিদার সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার আব্দুল কবির জানান, বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প চারিতালুক এলাকার কৃষকদের জমি দখল করে অবৈধভাবে বালু ভরাট করছে। এজন্য এলাকার সকল কৃষকরা মিলে একটি আবাসন প্রকল্প গঠন করার প্রস্তাব দেয়।
তখন আমরা সবাই মিলে জমিদার সিটি নামে একটি আবাসন প্রকল্প গঠন করি। প্রকল্পটির মালিক স্থাণীয় জমিদারগণ। জমিদার সিটির প্রতিটি জমি নিস্কন্টক ও নির্ভেজাল। এখানে প্লট কিনে কেউ প্রতারিত হবার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন এখানে নিন্ম আয়ের মানুষও স্বল্প মূল্যে প্লট ক্রয় করতে পারবে। এজন্য আমরা কিস্তিতে মূল্যে পরিশোধের সুযোগ রেখেছি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ