ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘুষে হুঁশ নেই ভূমি কর্মকর্তা ইমদাদুল ইসলামের। তাই একজনের জমি আরেক জনের নামে নামজারি করে দিয়েছেন তিনি। ইমদাদুল ইসলাম উপজেলার শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। মো. হান্নান তালুকদার নামে এক জমির মালিক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। হান্নান তালুকদার উপজেলার শুক্তগড় ইউনিয়নের ঘিগড়া গ্রামের মো. আকরাম হোসেন তালুকদারের ছেলে।
মো. হান্নান তালুকদার অভিযোগ করে জানায়, তিনি ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট একত্রিশ দশমিক নয় চার শতাংশ জমি নামজারি করতে শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এর মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদন নম্বর ১৫৬১৪৮৩। নামজারির মামলা নম্বর ২২১(ওঢ-ও)/২০১৯-২০। যাহার ডিসিআর নম্বর- ১৫/(২০১৯-১১-১৭)।
আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ উপজেলা ভূমি অফিস থেকে হান্নান অনুমোদন পায়। কিন্তু একই এলাকার মো. মোজ্জামেল তালুকদারের ছেলে মো. ইমাম হোসেন শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল ইসলামকে মোটা অংকের ঘুষ দেয়। ঘুষ গ্রহন করে ভূমি কর্মকর্তা ইমদাদুল ইসলাম যাচাই-বাছাই না করেই হান্নানের ঐ একত্রিশ দশমিক নয় চার শতাংশ জমি থেকে ১৬ শতক ৩২ অয়তাংশ জমি ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি ইমাম হোসেনের নামে নামজারির জন্য প্রস্তাব করেন।
তার প্রস্তাব অনুযাই ২০২৩ সালের ১৪ ফ্রেব্রæয়ারি অনুমোদন পায় ইমাম হোসেন। যাহা সম্প্রতি জমির খাজনা দিতে গিয়ে হান্নান তালুকদার জানতে পারেন। বর্তমানে হান্নান ঐ শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বার বার গিয়েও এর কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটা আমার ভুল হয়েছে। কিভাবে হয়েছে তা বলতে পারি না। তবে ঐ লোক আবেদন করলে ঠিক করে দেয়া যেতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু বলেন, শুক্তাগড় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে ভূক্তভোগীকে আমার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করতে হবে।