ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়য়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন গত ২৮ মার্চ বিদ্যালয় কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন নিয়ে শুরু হয় সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যানে দৌড়ঝাপ।
নির্বাচনের একদিন পর ৩০ মার্চ সকালে অর্ধশত বহিরাগতদের নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হাজির হন কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম আকতারুজ্জামান বাচ্চু। সেখানে শুরু হয় লংকাকান্ড। নলছিটি পৌর এলাকা থেকে আসা ইউপি চেয়ারম্যানের দলবল দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যাক্ষদর্শী অনেকে। পাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নিকটে হওয়ায় প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের ভয়ে গনমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করতে অনুবোধ জানিয়েছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকে।
চেয়ারম্যনের উদ্দেশ্য তিনি স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতেচায়। কিন্তু সম্প্রতী নারী কেলেঙ্কারিতে কারাভোগ করা এই চেয়ারম্যানকে সভাপতির পদে গ্রহন করতে আপত্তি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং অনেক অভিভাবকদের।
দলবল নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হট্টোগোল সৃষ্টি করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি চোয়ারম্যান বাচ্চু। তিনি একটি লিখিত পত্র প্রদর্শন করেন নব নির্বাচিত কমিটির সামনে। ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু’র শুপারিশকৃত ঐ পত্রে লেখা ছিলো চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাচ্চুকে সভাপতি করা হোক। কিন্তু এমপির সুপারিশকৃত ঐ কাগজটি জালিয়াতি করা হয়েছে বলেও সন্দেহ করেছে কমিটির অন্য সস্যরা।
এ বিষয়ে সদ্য নির্বাচিত সদস্য মো. মাসুমবিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘লাঠিসোটা নিয়ে হইচই করেছে চেয়ারম্যানের লোকজন। শুনেছি অবৈধ পিস্তল নিয়া আসছে তারা। আমরা শান্তিপুর্ণ কমিটি চাই। তাই উগ্র সভাপতি কেউ হোক তা চাইনা। আরেক সদস্য সুমন হোসেন বলেন, ‘আগামীতে এই স্কুলে চারটি পদে কর্মচারী নিয়োগ হবে, সেই টার্গেট নিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করেই চেয়ারম্যানের দৌড়ঝাপ।
ম্যানেজিং কমিটির নব নির্বাচিত সদস্য মো. আকবর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘কুলকাঠির সাবেক ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন দুলাল ওরফে দুলাল মেম্বরকে আমরা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু চেয়ারম্যান ঝামেলা সৃষ্টি করতেছে।
এবিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হয়েছে আমরা ভোটের মাধ্যমে বাচ্চু সাহেবকে (চেয়ারম্যান) সভাপতি নির্বাচন করেছি।’
কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম আকতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘এমপি মহোদয় আমাকে মনোনীত করে লিখিত সুপারিশ করেছে এবং ভোটও পেয়েছি। আমি বা আমার কোনো লোক হট্টোগোল করেনি।