মেলান্দহের আদ্রায় ক্ষমতার জোরে ফিল্ম স্টাইলে জমি দখলের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা উত্তরপাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী মৃত মিয়ার উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান গং রা জানান- ফিল্মস্টাইলে মারধর করে তাদের জমি দখল করছে পাশের বাড়ি মৃত কালু মন্ডলের ছেলে আ: মান্নান ওরফে মান্না দেও। তাদের আরো বসত ও আবাদি জমি
দখলের চেস্টা ও নিরাপত্তা হীনতায় ভুক্তভোগী হাফিজুরের পরিবার এমন অভিযোগ উঠেছে।
ভোক্তভোগী হাফিজুর রহমান আরো বলেন, বিআরএস,আরওয়ার মূলে প্রায় ৮০/৯০ বৎসর যাবৎ আমরা বিবাদমান প্রাায় ১ এককর জমি ভোগদখল করে আসতেছি।
আমাদের সামাজিক ভাবে হেয় ও নিঃস্ব করার জন্য একটি কুচক্র সহযোগীতায় জবর দখল,আমাদের রোপনকৃত বুরো ক্ষেত দখলের চেষ্টা, বসত ভিটে এসে হামলা ও মারধর করে। এতে আমার বড়ভাই আব্দুল হামিদ,মজিদ কয়েকজন মহিলা ফাহিমা, কণিকা, জেসমিন, মৌসুমি, নার্গিস ও ফাতেমাসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আছে।এদের মধ্যে বড় ভাই আব্দুল হামিদ আশঙ্কা জনক।
বিষয়টি মিমাংসারজন্য আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর করিম ফরহাদ, বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকা ও মেলান্দহ থানায় কয়েক দফা দরবার সালিশ হলেও বিবাদমান কলহটি কেউ সুরাহ করতে পারি নি।বরং কলহ পূর্বে চেয়ে আরো বেড়েই চলেছে।এলাকাবাসিরা জানান-হাফিজুর ও মান্না দের মধ্যকার কলহে যে কোন সময় বড় ধরনে দুর্ঘটনা বা প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে। বাদি
হাফিজুর গংদের জামালপুর কোর্টে করা কয়েকটি মামলাও চলমান। মামলা এফেআরও হয়েছে। কিন্তু বিবাদী পক্ষের অর্থের ছড়াছড়ি ও চতুরতা আর তদবিরের কারণে আসামিরা গ্রেফতারাও হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী মৃত মিয়ার উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর অভিযোগ করে আমাদের প্রতিনিধি কে আরও জানান- পশ্চিম আদ্রা ( আদ্রা উত্তরপাড়া) মৃত কালু মন্ডলের ছেলে আ: মান্নান ওরফে মান্না দেউ ও তার সৎভাই আজিজুল,নবাব আলী,মোতালেব,ও পরশি- মিষ্টার,মির্জা ও দুদুর ছেলে হেলাল গংরা জোররপূর্বক ভাবে আমাদের আদ্রা ও বাঘাডোবা মৌজার প্রায় ১ একর জমি দখলের চক্রান্ত করছে। বিবাদীগন এর মধ্যে কিছুটা দখলও নিয়েছে।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনে বলেন- মৃত মিয়ার উদ্দিনের ছেলেরা আমরা জন্মের পর হতেই দেখছি এলাকার মধ্যে নিরীহ ও বিবাদমান জমি তারা চাষাবাদ করে আসছে। অন্যদিকে মান্না দেঊ ও তার গংরা ১৯৪৫ সালের একটা দলিল দেখিয়ে জমি দখল নিতে চাচ্ছে।
মান্না দেউ রা একটু পেশি শক্তি ও জনবল বেশি তাই জবর দখলের চক্রান্ত ও বিভিন্ন সময় হাফিজুদের উপর হামলা করে। মান্না দেও আগে চোর ও ডাকাত ছিলো। তাকে দেখে যে কেউ ভয় পাবে। আমরাও কিছু বলতে পারি না বলতে গেলে মাথা ফাটাতে আসে। মান্না দেও এলাকার দুষ্ট ও খারাপ প্রকুতির মানুষ। তারা কাও কে মানে না নিজেদের বিচার নিজেরাই করতে চাই।
অভিযুক্ত বিবাদী আ: মান্নান ওরফে মান্না দেও এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কোন কথাতে রাজি হননি।বরং তিনি এটা বলেন আপনারা যা করতে পারেন করেন গে, আমাদেরটা আমরাই বুঝবো।
এই বিষয়ে মেলান্দহ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন- বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার অনেক চেষ্টা করেছি,মিমাংসা করতে পারিনি। এটার বিষয়ে আমি জানি এবং মামলা হয়েছে তা চলমান।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর উৎকণ্ঠিত। এমন কলহ ও মামলা হামলার পরিবেশের হাত হতে পরিত্রাণে উপায় ও শান্তিময় এলাকা সৃষ্টি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সমাজপতিদের প্রতি বিনীত আরজ ভোক্তভোগী পরিবারের
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ