রমজান মাসের পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সক্রিয় ডাকাত দলের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ ১০ ডাকাত হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
০৮এপ্রিল রাতে অভিযানে আসামী ০১। নুরে আলম প্রকাশ নুরু (২৬),০২। মোঃ হায়দার আলী (২৬),০৩। রিমন মজুমদার (২২),০৪। মোঃ রবিউল প্রকাশ রুবেল (২৪), ০৫। মোঃ মামুন (২২), ০৬। মোঃ বাদশা (২৮),০৭। মোঃ শামীম (২৬),০৮। মোঃ রাকিব (২৬),০৯। মোঃ শাহাদৎ (২৫), ১০। মোর্শেদ খান প্রকাশ হৃদয় (২৪),কে আটক করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুষ্কৃতিকারীরা ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার সংলগ্ন মহাসড়ক এর আশেপাশে অবস্থান নিয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের আটক করে।
আসামীদের হেফাজতে থাকা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং ধারালো চাকু উদ্ধারসহ আসামী
’দেরকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই ডাকাত দলটি হাইওয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত। এ দলের বেশিরভাগ সদস্যই চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ডাকাতি করতে জড়ো হয়েছিল। তারা সবাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করার জন্য কালু শাহ মাজার সার্কেলের পাশে ন্যানো ফ্যাক্টরি কর্পোরেশনের কাছে অপেক্ষারত ছিল। তারা বর্ণিত স্থানে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী সাধারন মানুষের চলাচলের স্থানে পথচারীকে আটক করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা-পয়সা ছিনতাই/ডাকাতি করে থাকে বলে নিজ মুখে স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,সেডান/মাইক্রোবাস এ ধরনের যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছিল। তারা আকস্মিক আক্রমণ করে যত দ্রুত সম্ভব সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।ডাকাত দলের নেতা জানায়, রমজান মাস এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষ প্রায়ই মোটা অংকের টাকা নিয়ে চলাচল করে,বিশেষ করে যারা ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে তারা ডাকাত দলের মূল টার্গেট। এছাড়াও তাদের কাছে সীতাকুন্ড এলাকার এক ব্যবসায়ীরও ব্যবসাস্থল হতে নগদ টাকাসহ গমনাগমনের তথ্য ছিল,যিনি বায়েজিদ লিংক রোড ব্যবহার করে শহরের এলাকায় যাওয়ার কথা। তারা বিভিন্ন ভাবে ও সময়ে স্থান পরিবর্তন করে ওই ব্যবসায়ীসহ ২-৩টি হাইওয়েতে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল।
সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ডাকাত দলের ৪ সদস্যের নামে বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন ধারায় ফৌজদারি মামলা পাওয়া যায়। আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ