ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তিন ফসলী জমি ও ইটের সলিং রাস্তার পাশে পুকুর খনন করাতে ঝুঁকিতে রয়েছে রাস্তা ও ফসলী জমি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী মাঠে রাস্তা ও তিন ফসলী জমির পাশে এ পুকুর খনন করছে রুপাপাত ইউনিয়নের বন্ডপাশা গ্রামের প্রভাব শালী ব্যবসায়ী পলাশ নামের একজন ব্যক্তি।
মাটি কাটার দায়ীত্বে রয়েছেন মাটি খেকো নামে পরিচিত মুখ হাসামদিয়া গ্রামের খায়ের। এর আগেও তিনি অনেক বার মাটি কাটার দায়ে জরিমানা ও জেল খেটেছে বলে জানা গেছে। তার পরও সে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানের ভরট কাজে বিক্রি করছেন। এতে করে গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থা হয়ে পড়ছে। ফলে ওই গ্রামীণ সড়কে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে খায়ের বলেন, মাটি কাটা ভেজাল তাই এ ব্যবসা আমি ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমি ভেকু ও মাটির টানা ট্রলী দেখভাল করছি। এতে করে আমাকে প্রতিদিন ৫শ টাকা বেতন দেন।
এনিয়ে পলাশের কাছে মুঠো ফোনে মাটি কাটার অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে কল কেটে দেন। তবে কিছুক্ষণ পরে আবার কল করে বলেন, ভাই আপনি যখন ফোন করেছিলেন তখন আমি ব্যস্ত থাকার কারণে বেশি কথা বলেছি মনে কিছু নিয়েন না। এ মাটি কাটার ব্যাপারে অনেক ভেজাল লেগে গিয়েছিল। ইউএনও অফিস থেকে এবং পুলিশ এসেছিল। তাদের সেথে মিটমাট করে আবার মাটি কাটা হচ্ছে।
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, মাটি কাটা বা বিক্রি নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। তবে আমার ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট যেন ক্ষতি না হয় সেটুকু আমার দাবী।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মাটি কাটার এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোশারেফ হোসাইন মুঠো ফোনে বলেন, উপজেলা অফিস থেকে কোন মাটি কাটার অনুমোদন দেয়া হয়না। ফসলী জমির মাটি কাটলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা