"বাংলা নববর্ষ বাঙালিদের প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে" - চবি উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, শুভেচ্ছা বক্তব্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বলী খেলা, বউচি খেলা ও মোরগ লড়াই।
সকাল ১০:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ‘স্মরণ’ চত্বর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা শেষে বর্ষবরণ মূল মঞ্চ ‘মুক্ত মঞ্চ’ এ অনুষ্ঠিত হয় বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সূচিত হয়। দুপুর ১২:০০ টায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির আহবায়ক চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং যুগ্ম-আহবায়ক চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম মহাজন ও নাহিদ নেওয়াজ।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে উপস্থিত সকলকে বাংলা নববর্ষের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। চিরায়ত এ উৎসবে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা হয়ে একাকার হয়ে যায়। বাঙালিদের হৃদয়স্পন্দনে গাঁথা রয়েছে বৈশাখের গৌরবদীপ্ত কাব্য। মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, পুরানো দিনের জীর্ণতা, ক্লান্তি, জঞ্জাল ও সকল অশুভ শক্তিকে দূরীভূত করে পহেলা বৈশাখ আসে নবতর বার্তা নিয়ে। মাননীয় উপাচার্য বৈশাখের এ নবযাত্রায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় সকলকে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখার আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে মাননীয় উপাচার্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী আয়োজনসমূহে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ