বরগুনার আমতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাড: এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি।
সোমবার বেলা ১২ টার সময় অ্যাড: এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনির ল চেম্বারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন রাজাকারের ছেলে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাড এইচ এম মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ১৫/০৪/২০২৩ ইং তারিখ চেয়ারম্যান মনির ও তার বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সত্তারের বিরুদ্ধে অসত্য মিথ্যা ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রাজাকর পুত্র নুরুল ইসলাম সংবাদ সম্যেলনে যে বক্তব্য রেখেছেন তা মিথ্যা অসত্য ভিত্তিহীন।
রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম ৪০ দিনের কর্মসূচী নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েে তার কোন সত্যতা নাই । বরং বিগত ১০ বছর রাজাকার পুত্র ইউপি চেযারম্যান থাকা কালে নামে-বেনামে এবং ডান হাত বাম হাতে স্বাক্ষর দিয়ে নামমাত্র তালিকা দিয়ে মাস্টারোল তৈরি করেছে, নামমাত্র কাজ করেছে এবং একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে চেকের মাধ্যমে ১০ বছরে কোটি কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেছে। যা সুষ্ঠ তদন্ত করলে সত্য প্রমানিত হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড এইচ এম মনিরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে গুলিশাখালী বাজার মসজিদের নামে বরাদ্ধকৃত অর্থ উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে খামখেয়ালীভাবে তার নিজের বাড়িতে দোতলা মসজিদ এবং ঘাটলা নির্মান করেন সেখানে কোন মুসুল্লী না থাকায় বর্তমানে তা পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে।
এছাড়া ও সে বিভিন্ন প্রকল্পের নাম দেখিয়ে কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করে যার মধ্যে খেকুয়ানী স্কুলের মাঠ ভরাট, খেকুয়ানী গাজী বাড়ীর সামনের রাস্তা মেরামত, পূর্ব কলাগাছিয়া মাদ্রাসার মাঠ ভরাট, কালিবাড়ি ধোপা বাড়ি সংলগ্ন খালের ব্রিজ নির্মান।
এ বিষয় সাবেক উপজেলা চেযারম্যান মোঃ ফোরকান মিয়া সরজমিনে তদন্ত পূর্বক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।
রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলামের অবৈধ ইটভাটা ও ইট ভাটার কাজ ব্যবহৃত অবৈধ যানবাহন সম্পর্কে আমি আইন শৃংখলা মিটিং তুলে ধরি। ইট ভাটার বিরুদ্ধ বিজ্ঞ হাই কোর্টে রিট হয় যার নং- ১৬১৯/২০২৩ ।
এ ঘটনার জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন দপ্তরে। রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম আওয়ামীলীগ বিরোধী সংগঠনের সাথে জড়িত সে উপজেলা নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের চরম বিরোধীতা করে ও হাতপাখার জোরালো সমর্থন করেন।
রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে গোজখালী ০৭ নং ওয়ার্ডের হিন্দু সপ্রদায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি তার নেতৃত্তে¡ স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ জোর করে দখল করে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ তাদের উপরে নির্যাতন চালায়।
আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে হিন্দু সপ্রদায়ের লোকজন আমার কাছে আসলে আমি তাদের পাশে দাড়াই এবংপ্রশাসনের সহযোগীতায় তাদের জমি পূনঃরুদ্ধার করি। ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় দোকান প্রতি ২,০০,০০০/- লক্ষ টাকা করে প্রায় ১,০০,০০০/- (এক কোটি) টাকার বিনিময়ে প্রায় ৫০ টি দোকানের পজেশন দিয়ে দেয়।
গুলিশাখালী বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন।
রাজাকার পুত্র তথা ভূমিদস্যু নুরুল ইসলাম নিজস্ব লোকজনের নামে ভূয়া ভূমিহীন সার্টিফিকেট দিয়ে শত-শত একর জমি কার্ড করিয়ে পরবর্তীতে এভিডেভিডের মাধ্যমে নিজ নামে পজেশন দখল করে নেয়।
১১ এপ্রিল রোজ মঙ্গগলবার বেলা দেড় ঘটিকার সময় আমতলী ফেরিঘাটে আমাকে দেখে রাজাকার পুত্র নুরুর ইসলাম তার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ।এ ঘটনায় আমি আমতলী থানায় জিবনের নিরাপত্তা চেয়ে ১৬ এপ্রিল সাধারন ডায়েরী করেছি।
এ ছাড়াও রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম আমিসহ আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছেন যাতে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নয়ন মুলক কোন কাজ করতে না পারি। আমি রাজাকার পুত্র নুরুর ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্টমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চমহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের সাথে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা বারেক চৌকিদার, প্রধান শিক্ষক কাজী মোজাম্মেল হোসেন , হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা মনিন্দ্র চন্দ্র শিল, গুলিশাখালী ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যগন