ঈদের আর মাত্র ক’দিন বাকী নতুন পোশাক আর সেমাই পোলাও ছাড়া যেন ঈদ কল্পনাই করা যায় না। তাই শেষ মুহুর্তে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে পছন্দের নতুন পোশাক সেমাই, চিনি, নারকেল, মাছ, মাংস, মুরগি, কাঁচাবাজার ইত্যাদি কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী পৌর সদরের মার্কেটসহ উপজেলার সরকারহাট, নাজিরহাট, ইছাপুর, চৌধুরীহাট, মদুনাঘাট ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণিবিতান কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।এই ভিড় সামলানোর জন্য মার্কেটের দোকান ও কাঁচাবাজারে প্রতিটি দোকানে অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে ব্যবাসয়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পৌরসভার ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে,বিপণিবিতান কাঁচাবাজার গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
তবে গরমের জন্য অতিষ্ঠ ক্রেতা বিক্রেতারা একদিকে তাপমাত্রা বেশি অন্য দিকে লোডশেডিং।
কাঁচাবাজারে এক ক্রেতা বলেন, মাছ মাংসের যে হারে দাম তাতে এবার ঈদে আগের মত করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে ঈদ কাটানো যাবেনা, তিনি বলেন গতকাল বুধবার হাটহাজারী বাজারে সকালে মুরগীর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, অথচ সন্ধা ঘনিয়ে আসতে না আসতে সেই মুরগী প্রতি কেজিতে দাম বেড়ে গেছে ৫ টাকা করে অথ্যাৎ প্রতি কেজি ২৩৫ টাকা করে,তাহলে আপনিই চিন্তা করেন কীভাবে? পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ ভালোভাবে কাটাব।
শপিংমলে মোঃ রবিন নামের এক ক্রেতার বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি আমার বেতন গত বছর থেকে এই বছর সামান্য বেড়েছে কিন্তু শপিংমলে এসে দেখলাম গতবছরের তুলনাই এই বছর প্রতিটি কাপড় শাড়ি, থ্রি পিচ, জুতা, বাচ্চাদের কাপড়, পাঞ্জাবি, সব কিছুর দাম প্রায় ডাবল তাহলে কেমনে পরিবারের জন্য ঈদের শপিং করব নিজেরটা নাহয় বাধ দিলাম।
কাঁচাবাজার আর শপিংমলে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন আমাদের ক্রয় করার সময় বেশি দামে ক্রয় করতে হয় আর এগুলো দোকানে নিয়ে আশা পর্যন্ত গাড়ি ভাড়া লেবার খরচ বেশি লাগে তাই আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।